UTPAL DUTTA

বিক্ষুব্ধ সময়ের কাজ চিনিয়েছেন উৎপল দত্ত

বিশেষ বিভাগ

জয়রাজ ভট্টাচার্য
রিক্লেইম করা সমাজতান্ত্রিক শিল্পচর্চার একটা অতি জরুরি অবস্থান, এবং অবস্থানটি স্থানু নয়, বরং পরিবর্তনশীল। সমাজতন্ত্র, যা এখনও করায়ত্ত নয়, কিন্তু সমাজবিকাশের ধারায় অবশ্যম্ভাবী, এই প্রত্যয় যে শিল্পীর আছে, তার কাজ নতুন সৃজনের, কিন্তু সেটা আলটপকা না, বিকাশের ধারাবাহিকতায় সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের থিয়েটারে এই কাজ সবচেয়ে যোগ্যতায় করেছেন কমরেড উৎপল দত্ত। 
ওঁর থিয়েটারে রয়েছে ঐতিহ্যের প্রেরণা, বিপুল ইতিহাসবোধ, আর নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্নকে জীবন্ত রাখার হিম্মত। খুব সহজ কাজ এটা নয়। পুরানো আদর্শ, জীবনবোধকে খণ্ডন করেই মঞ্চে দিতে হবে নতুনের আন্দাজ, কিন্তু খণ্ডন করা মানে জলাঞ্জলি দেওয়া নয়। কাজটা অন্য আর্ট প্র্যাকসিসের থেকে থিয়েটারে করে ওঠা আরও ঝক্কির। অন্য যে কোনো আর্টের ক্ষেত্রে- সঙ্গীত, চিত্রকলা, সাহিত্য, সিনেমা, সুযোগ আছে পরে আবিষ্কৃত হওয়ার। ফলে অতীত ঐতিহ্যকে আরও নির্মমভাবে পরিহার করতে অন্য আর্ট ফর্মগুলো পারে, থিয়েটার পারে না। কারণ থিয়েটারের পরে আবিষ্কৃত হওয়ার সুযোগ নেই। থিয়েটারের কোনও আর্কাইভাল ভ্যালু নেই। তাকে এই মুহূর্তে দর্শক পেতে হয়, না হলে ইতিহাস থেকে মুছে যেতে হয়। আরও সমস্যার বিষয়, এক দু’জন বিদগ্ধ পণ্ডিতকে দর্শক হিসাবে পেয়ে থিয়েটার টিকতে পারে না, তাকে জনতার সমর্থন অর্জন করতেই হয়। এককথায় জনপ্রিয় হয়ে উঠতে হয়।  
এইখানে একটা বোঝাপড়ার গোলমাল হয়। যা কিছু জনপ্রিয়, তা আসলে খেলো, আর যা কিছু এক্সপেরিমেন্টের দাপটে জনতার বোধগম্য নয়, সেই সমস্ত কাজই ‘আসলি চিজ’ এমন একটা ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া গেছে। এ কথা বলাই বাহুল্য যাঁরা নাটক জমাতে পারেন না, এই মিথ্যা আস্ফালন তাঁদের দিক থেকেই আসে। কিন্তু এ কথা বলেও আবার আমাদের সাবধান হতে হয়, পপুলার হতে চেয়ে পপুলিজমের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার বিষয়টা সম্পর্কে। জনতা চাইছে, এটাই একমাত্র মাপকাঠি হলে, তা কোনও পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে না! এক্ষেত্রেও আসলে একটা ফাঁকিবাজিই কাজ করে, জনতা কখনও একই জিনিস দেখতে আগ্রহী থাকে না, জনতাই দেখতে চায় পরিবর্তন। জনতার জীবনই সবচেয়ে গতিশীল, তা কতিপয় এলিটের মতো স্থবির নয়। আমরা আমাদের স্থবিরতাকে জনতার চাহিদা বলে চালাতে চাই। আমরা না পারি জনপ্রিয় হতে, না পারি নতুন এক্সপেরিমেন্ট ঘটাতে। নতুন এক্সপেরিমেন্ট ঘটাতে পারলেই আসলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু সেই এক্সপেরিমেন্ট দর্শককে বাদ দিয়ে নয়, তাঁদের সাথে নিয়ে। এই বিষয়টাকে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার কোনও স্থায়ী এককালীন সর্বজনীন সমাধান নেই। ইতিহাসের বিভিন্ন মুহূর্তে মনে হয়েছে, এই প্রশ্নের এটাই একমাত্র সমাধান, কিন্তু সেই একমাত্র আসলে 'একমাত্রিক' হয়ে উঠেছে, জীবনের থেকে সরে গেছে দূরে, তখন যেটাকে সমাধান মনে হচ্ছিল, সেটাই হয়েছে প্রধান সমস্যা। উৎপল দত্ত নিজেও এই সমস্যায় বিদীর্ণ হয়েছেন, আর সমস্ত কমিউনিস্ট আর্টিস্টের মতই। আরও অনেক সংবেদনশীল মানুষের মতই শিল্প সম্পর্কে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বোঝাপড়াকেই, শেষ বোঝাপড়া মনে করার ভুল সাময়িকভাবে কমরেড দত্তও করেন। লেনিনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই ১৯২৫, ২৬ সালে সোভিয়েতের কমিউনিস্ট পার্টি শিল্পচর্চা প্রসঙ্গে যে লাইন নেয়, তা দুনিয়ার অনেক মানুষকেই সোভিয়েতের দেওয়া মার্কসবাদী বয়ান নিয়েই সন্দিহান করে তোলে। যাঁরা এই লাইনের বিরোধিতা করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই প্রতিবিপ্লবী আখ্যা দেওয়া হয়, কারাবাস, মৃত্যুদণ্ডও হয় অনেক প্রথিতনামা মার্কসিস্টের। উৎপল তাঁর লেখা অক্টোবর-বিপ্লব ও সোভিয়েত সংস্কৃতি প্রবন্ধে সরকারি সোভিয়েত লাইনের সোচ্চার সমর্থন জানান। কিন্তু সোভিয়েত পতনের পর উৎপল দত্ত যখন অসাধারণ বিশ্লেষণ নিয়ে আসেন তাঁর গবেষণা গ্রন্থ প্রতিবিপ্লবে, তখন আমরা বুঝতে পারি, উৎপল দত্ত নিজেও সেই সময় একটা আলোড়নের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন। বুখারিন, মায়ারহোল্ড বা মায়াকোভস্কির পরিণতিকেও জায়েজ বলতে হচ্ছিল, যা উৎপল দত্তকে পীড়িত করছিল। 
বিপ্লবের অনেক আগে থেকেই রাশিয়ায় মার্কসবাদ চর্চার ক্ষেত্রে বিস্তর তাত্ত্বিক বিতর্ক হয়েছে। রাশিয়ায় মার্কসবাদ চর্চার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ, প্লেখানভের সাথে লেনিনের সম্পর্ক ছিল জটিল। প্লেখানভের পড়াশোনা এবং তত্ত্বচর্চা নিয়ে লেনিন ছিলেন রীতিমত শ্রদ্ধাশীল। রাশিয়ায় নারদ্নিকদের হটিয়ে, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রাথমিক অভিমুখ নির্দেশ করেছিলেন প্লেখানভই, এ কথা বহুবার লেনিন স্বীকার করেছেন। কিন্তু একইসাথে প্লেখানভের ছিল কিছুটা গদাইলস্করি ঠাঁট। উন্নাসিকতার জন্য সাধারণ মানুষ ওঁকে ঘোর অপছন্দ করতো, আর সেটাই উপভোগ করতেন যেন প্লেখানভ! একটা ছোট বৃত্তে শুধুই তত্ত্ব আলোচনা করে যাওয়াতেই ছিল ওঁর আগ্রহ। সেই বৃত্তের আর এক বিখ্যাত তাত্ত্বিক ছিলেন এক্সেলরদ। মার্কসবাদের প্রয়োগিক দিকটা এঁরা কিছুটা অগ্রাহ্য করতেন। আর লেনিনের কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয় ছিল মার্কসবাদের বাস্তব প্রয়োগ। মার্কসবাদকে প্র্যাক্সিসে নিয়ে আসা। এই ডিবেটের একটা বড় বিষয়- দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী দর্শনের ক্ষেত্রে মূল জোরটা ‘দ্বন্দ্বমূলক’ অংশটাতে পড়বে নাকি ‘বস্তুবাদ’অংশটায় পড়বে! 
বিপ্লবের আগে এই বিতর্ক যতটা পরিসর পেয়েছিল, স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লবের পর সেটা হয়নি। বিপ্লবের পর সোভিয়েত সরকারকে অন্যান্য উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশের সাথে পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করতেই হয়েছে। উল্টোদিকে ধনতান্ত্রিক দেশগুলো সোভিয়েতকে যে কোনও উপায়ে বাধা দিতে চেয়েছে। তাই যাঁরাই বলশেভিক পার্টির বিরোধিতা করেছে তাঁদেরই তোল্লাই দেওয়া হয়েছে, সেটা যেমন বাস্তব রণাঙ্গনে, তেমনই তত্ত্বের রণাঙ্গনেও। ফলে বলশেভিক পার্টিও তার তত্ত্বচর্চার মুক্ত পরিসর বজায় রাখতে পারেনি, কারণ পরিস্থিতি সে সুযোগ দেয়নি। ফলে ভাবনার পরিসরে কিছুটা একমুখী কার্যক্রম জায়গা দখল করে নেয়। প্রলেটকাল্ট অর্গানাইজেশনকে সামনে রেখে, লুনাচারস্কি বোগদানভরা একদিকে নিদান দেন, যা কিছু প্রাচীন তার সব বর্জন করতে হবে! এর ফলে তলস্তয়, পুস্কিন, দস্তয়েভস্কির মতো লেখকদের সাহিত্যও বর্জন করার ফতোয়া জারি হয়। এই ভয়ানক যান্ত্রিক লাইনকে প্রতিহত করতে লেনিনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু যেহেতু তর্কের পরিসর আগেই গায়েব হয়ে গেছে, তাই লেনিনের নির্দেশ পালনও একটা যান্ত্রিক প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে। লেনিনের মৃত্যুর পর, লেনিনের নাম করে উল্টো আমলাতান্ত্রিক ফতোয়া আসে, যা কিছু রাশিয়ার ঐতিহ্যর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ শুধু সেইসবই শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে অনুমোদিত, বাকি সব ধরনের এক্সপেরিমেন্টের ওপর আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ শুরু হয়। 
১৯৭২ সালে লিখিত অক্টোবর-বিপ্লব ও সোভিয়েত সংস্কৃতি প্রবন্ধে উৎপল দত্ত সরাসরি শিল্প চর্চার ক্ষেত্রে পার্টির এই হস্তক্ষেপ সমর্থন করছেন। এমনকি মায়ারহোল্ডের প্রবল সমালোচনা করছেন, আর স্তানিস্লাভস্কির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করছেন। কিন্তু সেই উৎপল দত্তই কুড়ি বছর পর তাঁর মৃত্যুর ঠিক এক বছর আগে, সোভিয়েতের পতন নিয়ে যে অসাধারণ গ্রন্থ রচনা করছেন, তাতে প্রথমেই ভুল স্বীকার করছেন তাঁর পূর্বের মূল্যায়নের। এ কথাও বলছেন— অন্য দেশের কমিউনিস্ট পার্টির খুলে আম সমালোচনা খুব সম্ভবপর ছিল না। কিছুটা বাধ্যবাধকতাও কাজ করেছে। ১৯৯২ সালে এসে ওঁর মনে হচ্ছে, যে বাস্তবকে দেখানোর দাবি স্তানিস্লাভস্কি সারাজীবন রেখেছেন, তা শিল্পচর্চার উন্মুক্ত পরিসরকে অন্তত ভাবনার ক্ষেত্রে কিছুটা খর্ব করে। সেক্ষেত্রে মায়ারহোল্ডই ছিলেন সেই শৃঙ্খলকে ভাঙার বিপ্লবী সৃজক। যেমন ছিলেন পিসকাটর এবং ব্রেখট। কিন্তু উৎপলের এই অবস্থানের ঈঙ্গিত ৭২ সালে লেখা প্রবন্ধটিতেও আছে। যে অংশে উনি বুখারিনের সমালোচনা করছেন এই মর্মে যে- বুখারিন মানুষের চেতনাকে গুরুত্ব না দিয়ে, ভাবনাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধুই একটা যান্ত্রিক সমষ্টি হিসাবে প্রলেতারিয়েতকে দেখছেন। মানুষের সাবজেক্টিভ ভাবনার গুরুত্বকে লঘু করছেন। এই জায়গা থেকেই অফিসিয়াল সোভিয়েত পার্টি লাইনের সাথে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের তাত্ত্বিকদের তফাত নির্দিষ্ট হয়। 
উৎপল ১৯৭২ সালে যদিও বুখারিন ট্রটস্কি এবং সমস্ত পশ্চিমের তাত্বিকদের ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন, কিন্তু পরবর্তীতে ওঁর লেখা পড়লে আমরা বুঝতে পারি, বুখারিন ট্রটস্কি সহ গ্রামসি আলথুজার লুকাচ এমনকি কার্ল কর্শ ও ওয়াল্টার বেঞ্জামিনের লেখাপত্তরও উৎপল দত্ত অত্যন্ত যত্নে পড়েছেন। এক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞাই তাঁকে প্রতিহত করতে পারেনি। এমনকি উৎপল দত্ত নিজেই ট্রটস্কি এবং বুখারিন প্রসঙ্গে এক জায়গায় লিখছেন, পার্টির সামনে আচ্ছা আর কোনও আলোচনা করবো না এই মর্মে মুচলেকা দিলেই, তাঁরা আর কোনও আলোচনা সত্যি সত্যিই করবেন না, এমন বান্দা ওঁরা ছিলেন না। এ কথা কমরেড দত্তের নিজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উনি যাঁদের কোনও এক সময়ে খারিজ করেছেন, তাঁদের লেখাপত্তরও যথেষ্ট যত্নে পড়েছেন, এবং খারিজ করার পর যদি মনে হয় সেটা ঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি, তা নিয়ে আবার ফিরে গিয়ে ভেবেছেন। এই জায়গাতে কমরেড দত্ত খাঁটি লেনিনিস্ট। ভুল করলে, ভুল না শোধরানোর গোঁয়ার্তুমি ওঁকে কখনও পেয়ে বসেনি। 
পার্টির সাথে ব্রেখটের সম্পর্ক খুব সরল ছিল না, সোভিয়েত পার্টির সাথেও না, জার্মান পার্টির সাথেও না। ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের দু’জন ব্যক্তির সাথে ব্রেখটের সম্পর্ক ছিল শিক্ষক ছাত্রের, একজন কার্ল কর্শ, ব্রেখট নিজেই যাঁকে ওঁর মার্কসবাদের শিক্ষক বলেছেন, আর একজন ওয়াল্টার বেঞ্জামিন, যিনি আবার ব্রেখটকে বলেছেন শিক্ষক, বন্ধু। এঁরা দু’জনেই এমনকি ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলেও ছিলেন কিছুটা প্রান্তিক। কারণ ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল প্রাথমিকভাবে সোভিয়েত পার্টির যান্ত্রিক বস্তুবাদের বিরোধিতা করে শুরু হলেও পরবর্তীতে হিটলারের উত্থানকে কেন্দ্র করে অত্যন্ত জরুরি পর্যবেক্ষণ উপস্থিত করে। সেই পর্যবেক্ষণও সোভিয়েত পার্টির অফিসিয়াল লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না। যেহেতু ফ্রাঙ্কফুর্ট, অর্থাৎ জার্মানিতে থেকেই ওঁদের কাজ, তাই এই উত্থানের সামাজিক সাংস্কৃতিক কারণগুলো ওঁরা চিহ্নিত করেছিলেন। একটা বিষয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের সকলেই একমত হয়েছিলেন, হিটলারের উত্থানের শক্তি বাইরে থেকে নয় জার্মান সমাজের ভেতর থেকেই এসেছে। এই প্রশ্নে ব্রেখটের একটা নাটকও আছে- ‘আ রেজিস্টেবল রাইজ অব আর্তোরো উই’। অর্থাৎ যে রাইজ রেজিস্টেবল ছিল কিন্তু রেজিস্ট করা যায়নি। যার কারণ এবং ফল দুয়ের মধ্যেই এক সাধারণ সামাজিক অবক্ষয় আছে। কিন্তু এইখানেও কার্ল কর্শ, ব্রেখট আর বেঞ্জামিন অন্যদের থেকে আলাদা অবস্থান নেন। থিয়েটারের কারণেই নেন। রাজনৈতিক মতবাদকে জনপ্রিয় করে তোলার মুখ্য এপারেটাস হিসাবে থিয়েটারকে প্রয়োগ করার সম্ভাবনার কথা বলেন। যে কাজ আমাদের দেশে বিক্ষুব্ধ সময়ে উৎপল দত্ত করেছেন। কেমন সে কাজ? বিক্ষুব্ধ সময়ে যেমন হওয়া উচিত। বিক্ষুব্ধ কাজ। জনতার বিক্ষোভকে মূর্ত করার কাজ। জনতার মুখরিত সখ্যে।
(মতামত লেখকের)

Comments :0

Login to leave a comment