মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
পাকিস্তান থেকে আসা ওই দু’টি কন্টেনারের ডিক্লারেশনে বলা হয়েছিল, ৩২ হাজার ১০ কেজি বার্ড ফুড (পাখির খাবার) আছে। কিন্তু পরীক্ষার সময়ে দেখা যায় ওতে মাত্র ৭২০০ কেজি বার্ড ফুড, বাকিটা পোস্ত! তিনি আরও জানান, এই পণ্যগুলো আমদানি করেছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদিব ট্রেডিং।
বৃহস্পতিবার কাস্টমসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মেসার্স আদিব ট্রেডিং পাকিস্তান থেকে ৩২ হাজার ১০ কেজি পাখির খাদ্য আমদানি করার কথা ঘোষণা করে। ৯ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। পরে এটি অফডক ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে রাখা হয়।
কিন্তু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২২ অক্টোবর কাস্টমস দুটি কনটেইনার খালি করার কাজ স্থগিত করে দেয়। পরীক্ষা করে প্রথম সারিতে ৭ হাজার ২০০ কেজি পাখির খাদ্য পাওয়া গেলেও তার আড়ালে পাওয়া যায় ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপি সিড। এরপর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় পণ্যটি পপি সিড হিসেবে নিশ্চিত হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির জানান, ‘‘অঙ্কুরোদগম সক্ষম পপি সিড মাদকদ্রব্য আইনে নিষিদ্ধ। ২০১৮ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে গণ্য। পাশাপাশি আমদানি নীতি’র ২০২১–২৪–এ এটি আমদানি–নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রয়েছে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির চেষ্টা করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ অনুযায়ী চালানটি জব্দ করা হয়েছে। ঘোষিত পণ্যের মূল্য ছিল ৩০ লক্ষ টাকা। আদতে তার দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা।
Bangladesh
পাখির খাদ্যের আড়ালে ঢাকায় মাদক পাঠালো পাকিস্তান
×
Comments :0