সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মানছে না ইজরায়েল। চলছে হত্যাকাণ্ড। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে এখনো অবধি ৬৯ হাজার মানুষ হামাস- ইজরায়েল হামলায় নিহত হয়েছেন।
একাংশের অভিমত, মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে।
এদিন রাষ্ট্র সঙ্ঘের উপ মুখপাত্র বলেন, সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করার কথা ছিল তার তুলনায় অনেক কম ত্রাণ প্রবেশ করানো হচ্ছে। প্রধান কারণ ইজরায়েলের বাধা।
ইজরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় সব পরিবার বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, গাজাবাসীরা পানীয় জলের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির জল ধরার পুকুর ভরে গিয়েছে আবর্জনায়। তার মধ্যে ইজরায়েলের সেনার ব্যবহার করা সরঞ্জামও রয়েছে বলে জানাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম। ফলে পানীয় জলে দূষণ হয়েছে।
ইজরায়েল প্রত্যেকদিন সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ভাঙছে। পাশাপাশি গাজার প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে। দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের ফলে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে হামাস ইজরায়েলি এক বন্দির দেহ ফেরত দেওয়ার পুরো একদিন পর, শনিবার, ১৫ পালেস্তিনীয় বন্দির দেহ ফেরত দিলো ইজরায়েল।
মার্কিন যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ১ জন ইজরায়েলি বন্দির বিনিময়ে ১৫ প্যালেস্তিনীয় বন্দিকে ফেরানোর কথা ইজরায়েলের।
শুক্রবার হামাস ওই বন্দির দেহ ইজরায়েলে পাঠায়। ওই দেহ ইজরায়েলি বন্দিরই, তা নিশ্চিত হওয়ার পরেই ইজরায়েল গাজায় দেহ ফেরাতে শুরু করে। সর্বশেষ ১৫ জনসহ এখনো অবধি সর্বমোট ৩০০ জনের দেহ হস্তান্তর করলো ইজরায়েল। তবে ডিএনএ কিট ছাড়া দেহ সনাক্ত করা গাজার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৯ জন প্যালেস্তিনীয়ের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
Gaza Water Pollution
গাজায় মৃত্যু ছাড়ালো ৬৯ হাজার, ভয়াবহ দূষণ পানীয় জলে
গাজার শেখ রওধানের একটি দূষিত জলাশয়।
×
Comments :0