COP-30

উষ্ণায়ন রোধের লক্ষ্য থেকে দূরে বিশ্ব, পরিবেশ সম্মেলনের মুখে জানালো রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বেড়েই চলেছে বেনজির মাত্রায়. জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই তথ্যের নিরিখেই আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনের মুখে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের লক্ষ্যমাত্রায় জোর দেওয়ার আবেদন জানালেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে, ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী  ভারত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বার্ষিক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তারপর রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং আমেরিকা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি ইউএনইপি’র রিপোর্টে বিশ্বব্যাপীকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়তে থাকার অর্থ বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকানোর লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যাওয়া। 
তথ্যে বলা হয়েছে, এভাবেই চললে চলতি শতাব্দীর শেষে, শিল্পবিপ্লবের আগের স্তরের তুলনায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ২.৩ ডিগ্রি থেকে ২.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
তবে মাথা পিছু নির্মনে সবচেয়ে এগিয়ে আমেরিকাই। পাশাপাশি রাশিয়া এবং চীনও এই মাপকাঠিতে আন্তর্জাতিক গড়ের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে ভারত, ইন্দোনেশিয়ার মাথা পিছু নির্গমণ আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় কম। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘ আয়োজিত বার্ষিক পরিবেশ সম্মেলন এবার হচ্ছে ব্রাজিলে। এবারের সম্মেলন ৩০ তম, পরিভাষায় ‘কপ-৩০’। আমাজনের কোলে বেলেম শহরে হবে সম্মেলন। ১০-২১ নভেম্বর হবে এই সম্মেলন। তার আগে রিও ডি জেনেইরোতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপ্রধানদের দু’দিনের বৈঠক।
এই বৈঠকেই গুতেরেজ বলেছেন, ‘‘বিজ্ঞান অনুযায়ী আমরা বিশ্ব উষ্ণায়নের কাজ গতি বাড়াতে পারি এখনও। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী শতাব্দীর শেষে বিশ্বের তাপমাত্তার বৃদ্ধি শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি বৃদ্ধিতে বেঁধে রাখতে পারি।’’
এদিনের ভাষণেও গুতেরেজ জোর দিয়েছেন জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প শক্তি ব্যবহারের প্রযুক্তিতে। তারজন্য উন্নয়নশীল বিশ্বকে আর্থিক এবং প্রযুক্তির সহায়তা দেওয়ার কথা শিল্পোন্নত দেশগুলির। এই সহায়তায় জোর দেন তিনি। 
গুতেরেজ বলেছেন, বাকুতে গত বছরের ‘কপ-২৯’ সম্মেলনে ঠিক হয়েছিল ২০৩৫’র মধ্যে ১.৩ লক্ষ কোটি ডলারের জলবায়ু তহবিল গড়া হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলিকে বছরে ৩০০ ডলার তহবিলে দিতে হবে। 
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডা সিলভা বলেছেন, এই সময়ের সবচেয়ে জরুরি কাজ হলে দ্রুত উষ্ণায়ন রোধী জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো। আর দরকার পরিবেশকে রক্ষা করার মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি। পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনে শিল্পোন্নত বিশ্বের অসহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন সময়েই সরব হয়েছেন লুলা।

Comments :0

Login to leave a comment