Panchayat Poll Nominations

‘ফর্ম আসেনি দেব কোথা থেকে’, বলছেন বিডিও

রাজ্য জেলা

Panchayat Poll Nominations



জেলা শাসক বলেছিলেন সব তৈরি। কেবল ‘সুইচ অন’ হওয়ার অপেক্ষা। কিন্তু পরের দিন, শুক্রবার, মনোনয়ন তোলার প্রথম দিনই লোডশেডিং পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনে।
কারণ জেলার ২৫টি ব্লকেই চরম অব্যবস্থা চিত্র লক্ষ্য করা গেছে শুক্রবার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা ছিল বেলা ১১ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়া যাবে। বেলা ৯টার আগে থেকেই মনোনয়নপত্র তুলতে সিপিআই(এম)'র কর্মীরা উপস্থিত হন ব্লক অফিস গুলিতে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও উপস্থিত হন। কিন্তু জেলার প্রায় প্রত্যেকটি ব্লক অফিসে বারোটা বেজে গেলেও মনোনয়নপত্র দেওয়ার কাজ শুরুই করতে পারেনি ব্লক প্রশাসন। এদিন হলদিয়া ব্লক অফিসে সিপিআই(এম) প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র ও ডিসিআর নেওয়ার জন্য সকাল ন'টা নাগাদ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে যান। এগারোটা বেজে গেলেও মনোনয়নপত্র দেওয়া ও ডিসিআর’র কাজ শুরু করেনি ব্লক প্রশাসন।


উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ১০টি ব্লকে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলো সিপিআই(এম) এবং জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীরা। কোথাও মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে সিপিআই(এম)'র প্রার্থীদের উপর চললো দফায় দফায় মারধর। কোথাও নানান টালবাহানা করে শেষমেশ খালি হাতে ফিরতে হলো মনোনয়ন জমা দিতে আসা বামফ্রন্টের প্রার্থীদের। যদিও এখানেও সাময়িক টালবাহানার পর হিঙ্গলগঞ্জ ও বসিরহাট-১ও ২নং ব্লকের হাতে এলো মনোনয়নপত্র ও ডিসিআর'র কাগজ।
বসিরহাট-১ নম্বর ব্লকের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেই ফেলেন, ‘‘মনোনয়নপত্র, ডিসিআর আসেনি। দেব কোথা থেকে?’’
জেলার হাড়োয়া ব্লকেও জানানো হয় ফর্ম আসেনি। বিডিও আরো বলেন, সর্বদলীয় সভার পরে ফর্ম দেওয়া শুরু করা হবে। মনোনয়ন পত্র জেরক্স করে পূরণ করতে বলেন। 
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ডায়মন্ডহারবার-১, বজবজ-২, বারুইপুর, মগরাহাট-২ ব্লকেও এক অবস্থা। সাগর ব্লকের বিডিও আবার সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধিকে মনোনয়ন পত্র দিতে অস্বীকার করেছেন। ক্যানিং-১, ভাঙড়-২ ব্লকে সশস্ত্র দুষ্কৃতী বিরোধীদের আক্রমণ করে। সমস্যা জেলা শাসককে জানিয়ে কাজ হয়নি।


পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন মিলিয়ে ৩৭২ জনের ডিসিআর সংগ্রহ করা হয়েছে। দাসপুর, ডেবরা, পিংলা, সবং, চন্দ্রকোনা-১ এবং ঘাটাল ব্লকে বামপ্রার্থীরা সকাল সকাল নমিনেশন জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান। চেয়ার টেবিল থাকলেও কোনেও নির্বাচনী কর্মকর্তা ছিলেন না।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকেও কোনো নির্দেশিকা না পৌঁছানোর অভিযোগ রয়েছে জেলাস্তরে। দাসপুর ২নম্বর ব্লক দপ্তরে বামফ্রন্টের শতাধিক প্রার্থী লাইন দিলেও বেলা দেড়টার পর কাজ শুরু হয়। ডিসিআর কাটার কাউন্টার বন্ধ, মনোনয়ন পত্র দেওয়ার টেবিল ফাঁকা। দাসপুর-২ ব্লক দপ্তরে প্রার্থীরা জোর করে ভিতরে ঢুকতে বাধ্য হন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার টেবিলের সামনেই দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে বসেই থাকেন। বেলা দেড় টার পর ডি সি আর কাটা সহ মনোনয়ন পত্র জমা করেন। এমন ঘটনা জেলার ঘাটাল,চন্দ্রকোনা ১, ডেবরা, সবং, পিংলা সমস্ত ব্লক দপ্তরে।

Comments :0

Login to leave a comment