এলাহাবাদ হাই কোর্টের কারিজ হয়ে গেলে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির আবেদন। ‘ব্যাসজী কে তহখানা’ ধর্মীয় উপাচার পালন করতে পারবেন হিন্দুত্ববাদীরা। এদিন বিচারপতি রহিত রঞ্জন আগ্রওয়াল বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখে এবং দুই পক্ষের কথা শোনার পর আদালত মনে করে যে ১৭ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালত যেই রায় দিয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করার। এর পাশাপাশি ৩১ জানুয়ারি তহখানায় পুজো করার যেই অনুমতি জেলা আদালত দিয়েছে তাতেও হাই কোর্ট কোন হস্তক্ষেপ করবে না।’’
জেলা আদালতের রায়ের বিরোধীতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি। মসজিদ কমিটির সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য তহখানায় পুজো করার অনুমতি দেওয়ার পর দিনই জ্ঞানবাপো মসজিদের ব্যাসজী কে তহখানায় পুজোর আয়োজন করা হয় হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে। রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হয় মন্দির এবং মসজিদের মাঝখানের ব্যারিকেড। ফের স্লোগান ওঠে ‘মন্দির ওহি বানেগি।’
বারাণসী জেলা আদালতের বিচারপতি এ কে বিশ্বেস ম্যাজিস্ট্রেটকে এক নির্দেশে জানিয়েছেন, একজন পুরোহিত ওই তহখানা বা ভূগর্ভস্থ স্থানে পুজো দেবেন। পুরোহিত কে হবেন সেটা স্থির করবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট এবং আবেদনকারীরা। জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ দিকের এই তহখানায় থাকা মূর্তি পুজোর ব্যবস্থা সাত দিনের মধ্যে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এখানে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে পুজো দেওয়া হতো। বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়ার পরে উদ্ভূত ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে তৎকালীন মুলায়াম সিং সরকার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদকে ব্যারিকেড করে পৃথক করে। সেই সময় থেকে পুজো বন্ধ থাকে।
রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে থাকা এই মসজিদ নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভাঙার পরপরই স্লোগান তোলা হয়েছিল ইয়ে তো কেবল ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়।
ইতিমধ্যে জ্ঞানবাপীর অজুখানা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এর মধ্যে রবিবার দ্বারকায় গিয়ে জলের তলায় বসে পুজো করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে কাশী এবং মথুরা নিয়ে যে বিজেপি এবং আরএসএস নতুন করে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াবে তা অনেকেই মনে করছেন।
Gyanvapi Mosque
ব্যাসজী কে তহখানা নিয়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখলো হাইকোর্ট
×
Comments :0