ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আটকে রয়েছে একাধিক কাজ। সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই পৌরসভার পৌরপ্রধান আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব। বিধবা-বার্ধক্য ভাতা দীর্ঘদিন না পাওয়া, পৌরসভার পরিকাঠামগত কোন উন্নয়ন না হওয়া, সকলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, টেন্ডার ও মিউটেশনে অর্থ নেওয়ার মতো অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের ১৪ জন কাউন্সিলর।
কালনা পৌরসভার পৌরপ্রধান আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়। শুধু তাই নয়, পৌরসভার ১৮ জন কাউন্সিলর এর মধ্যে ১৪ জনের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাব বুধবার পাঠানো হয় বিভিন্ন দপ্তরে। কালনা মহাকুমা শাসক শুভম আগারওয়াল এই অনাস্থা প্রস্তাব মেলে পাওয়ার কথা স্বীকার করে নেন বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে স্বাক্ষর করা ১৪ জন কাউন্সিলারের মধ্যে অন্যতম সুনীল চৌধুরী জানান, আমরা মেলে অনাস্থা প্রস্তাব পাঠানো সত্বেও হার্ডকপি পৌরসভায় বৃহস্পতিবার জমা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পৌরপতির নির্দেশে কেউ অনাস্থা প্রস্তাব জমা নিতে চাননি। অনাস্থা প্রস্তাব আনা সত্ত্বেও যদি পৌরপতিকে না সরানো হয়, তাহলে তার ফল আরো মারাত্মক হবে। আমরা ১৪ জন কাউন্সিলারই পদত্যাগ করবো। কালনা পৌরসভার পৌরপতি আনন্দ দত্ত বলেন, আমি এখনো অনাস্থা প্রস্তাবের কপি পায়নি। পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সে ব্যাপারে জানাবো। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো সবকিছু হবে।
Comments :0