অনিল কুন্ডু
মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। তৃণমূলের দুস্কৃতীরা, পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সিপিআই (এম) প্রার্থীদের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। মানুষের রায়ে তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীরা পঞ্চায়েত দখল করে পরিচালনা করবে মানুষ মেনে নেবে না। সোমবার একথা বলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, লুটেরাদের রাজত্ব চলছে এটা মেনে নেওয়া যাবে না। সিপিআই(এম) প্রার্থীরা মানুষকে নিয়ে বিকল্প পঞ্চায়েত পরিচালনা করবেন। মানুষের সমস্যা, এলাকার সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবেন।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিপিআই(এম) প্রার্থীদের সকলকে সার্টিফিকেট ও নামের লেটারহেড ছাপিয়ে সিপিআই(এম)-এর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে। সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে মানুষের রায়ে আপনি জিতেছেন। প্রশাসন আপনাকে সার্টিফিকেট দেয়নি। পাঁচ বছর তাঁরা মানুষের রায়ে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সিপিআই(এম) সোনারপুর পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এদিন সোনারপুরের তেমাথায় সিপিআই(এম) প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কালিকাপুর ১, কালিকাপুর ২ ও প্রতাপনগর এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৫২ জন প্রার্থী, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ ও জেলা পরিষদের ১ জন প্রার্থী মোট ৬২ জন প্রার্থীকে এদিন সোনারপুরের তেমাথায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সুজন চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী, পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক পরিতোষ কুমার মন্ডল, আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন মিলি চক্রবর্তী।
শমীক লাহিড়ী বলেন, চোর লুটেরাদের পঞ্চায়েত চালাতে দেবে না মানুষ। পাঁচ বছর শান্তিতে ঘুমাতে দেব না। এটা জানান দিতেই এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, পুলিশ, তৃণমূল দুস্কৃতীদের আক্রমণের মোকাবিলা করে জীবনের ঝুকি নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছেন সিপিআই(এম) প্রার্থীরা। তাঁদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন , গণনা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী জিতে গেছে তাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়া হল না। তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীরা সার্টিফিকেট পেল। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি লড়াই চলবে।
রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস, আক্রমণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। পঞ্চায়েত লুট করতে ওরা ভোট লুট করেছে। বোমা, গুলি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ৩৪ বছর বামফ্রন্ট সরকার ছিল। তখন মানুষ এসব দেখেনি। জয়নগরে, নেতড়ায় পুকুরে ব্যালট বাক্স জালে উঠেছে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস, বিরোধীদের উপর আক্রমণ করা হল নির্বাচনে।
এদিন কালিকাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআই(এম) প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট কেনারাম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, সিপিআই(এম) প্রার্থীরা এগিয়ে থাকায় গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী ঢুকে আক্রমণ করে। মারধর করে বের করে দেয়। এই ভাবে পঞ্চায়েত দখল করতে তৃণমূল প্রার্থীরা লুট করেছে। তার উপর আক্রমণ করে বলে তিনি জানান।
Comments :0