কর্ণাটকের জয়ের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। দুইজনেই এখন মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি জানাচ্ছেন। এবং দুই প্রবল প্রতিপক্ষের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে ঘোর বেকায়দায় পড়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই দ্বন্দের জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা অবধি কর্ণাটকের মুখ্যমন্তী বাছাই করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।
ইতিমধ্যেই শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিবকুমার। আধাঘন্টার কাছে চলে বৈঠক। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই খাড়গের বাসভবনে পৌঁছন সিদ্দারামাইয়া।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, দুই নেতাই শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজেদের গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। দুইজনেরই দাবি, তাঁদের সঙ্গে সিংহভাগ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অপরদিকে কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সমস্ত বিধায়কের ভোট নেওয়া হয়েছে গোপন ব্যালটে। সেই ভোটের ফল এখনও সামনে আনেনি কংগ্রেস হাইকমান্ড। যদিও হাওয়ায় গুঞ্জন, ৬০ শতাংশের বেশি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্দারামাইয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন।
অপরদিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেড় ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন খাড়গে। সেই বৈঠকে এআইসিসি’র তরফে কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেসি বেণুগোপালও উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে গিয়েছে।
অপরদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিবকুমার জানিয়েছেন, কর্ণাটকে দলের জয়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনিই। যদিও একইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না বাছলেও তিনি কোনও দলবিরোধী কাজ করবেন না।
যদিও এটা আশ্বাসবাণী না প্রচ্ছন্ন হুমকি, ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন।
Comments :0