এদিন হ্যাজার্ড লিখেছেন, ‘‘ নিজের সঙ্গে কথা বলেই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। সঠিক সময়ে থামতে জানাটা জরুরি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পেশাদার ফুটবলারের জীবন কাটিয়েছি। ৭০০’র বেশি ম্যাচ খেলেছি। এবার থামার সময় এসেছে।’’
বিদায় বার্তায় হ্যাজার্ড আরও লিখেছেন, দীর্ঘ ক্যেরিয়ারে দুরন্ত কিছু ম্যানেজার, কোচ এবং খেলোয়াড়ের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করার সুযোগ পেয়েছি। দারুণ সময় কাটিয়েছি। অসামান্য কিছু স্মৃতি তৈরি হয়েছে। তারজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’’
হ্যাজার্ড বেলজিয়ামের জাতীয় দলের পাশাপাশি লিলে, চেলসি এবং রিয়াল মাদ্রিদে ফুটবল জীবন কাটিয়েছেন। ফুটবল ছাড়ার বার্তায় বেলজিয়াম ফুটবল ফেডারেশন এবং তিন ক্লাবের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বেলজিয়ামের লা’লুভিয়ের শহরে এক পেশাদার ফুটবলার পরিবারে জন্ম হ্যাজার্ডের। খেলোয়াড় জীবন শুরু করেন ফ্রান্সের লিলে অলিম্পিক স্পোর্টিং ক্লাবে। লিলে’র হয়ে ২০১০-১১ মরশুমে ফরাসী কাপ জেতেন তিনি। দলের জয়ের নেপথ্যে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। সেই নজরকাড়া ফুটবলের দৌলতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি’র নজরে পড়েন তিনি। ২০১২ মরশুমে তাঁকে সই করায় চেলসি।
চেলসিতে ২০১৯ সাল অবধি খেলেন হ্যাজার্ড। তারমধ্যে ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ইপিএল জয়ী হয় চেলসি। ২০১৮ সালে চেলসির জার্সি গায়ে এফএ কাপ জেতেন হ্যাজার্ড। ব্যক্তিগত দক্ষতার জন্য ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন তিনি। বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মোট তিনবার।
২০১৯ সালে চেলসি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি দেন তিনি।
বেলজিয়ামের হয়ে ৩টি বিশ্বকাপ এবং ২টি ইউরো কাপ খেলেছেন হ্যাজার্ড। জাতীয় দলের হয়ে ১২৬টি ম্যাচে ৩৩ গোল রয়েছে তাঁর নামের পাশে। যদিও হ্যাজার্ড জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলায় ইতি ঘোষণা করেছিলেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে একেবারেই ভালো ফুটবল খেলতে পারেনি বেলজিয়াম। তারপরেই জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি।
এদিনের বার্তায় তিনি নিজের সমর্থক এবং শুভানুধ্যায়ীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ভালো এবং খারাপ সময়ে তাঁর পাশে থাকার জন্য। ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিজের পরিবারকেও।
Comments :0