Ex Defence worker Suicide

ফ্ল্যাটে স্ত্রী-মেয়ের দেহ, মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনে আত্নঘাতী সেনা কর্মী!

রাজ্য

Ex Defence worker Suicide

মধ্যমগ্রামে ডাউন হাবড়া লোকালের সমানে ঝাপ দিয়ে আত্নঘাতী হলেন অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। পুলিশ সূত্রে খবর গৌতম বন্দোপাধ্যায় নামে ওই সেনা কর্মীর আনুমানিক বয়স ৪৮ বছর।  এই ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষন ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মধ্যমগ্রাম সূত্রে জানা গেছে, নিহত সেনা কর্মীর বাড়ি বাঁকুড়ায়। তবে তিনি পরিবার নিয়ে দমদমের একটি আবাসনে থাকতেন। পুলিশ তাঁর মৃত্যু সংবাদ ফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পৌছে দিতে দমদমের ওই আবাসনে বহুবার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। পরে দমদম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দমদমের ওই ফ্লাটে হাজির হয় পুলিশ। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ঘরের মধ্যে বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সেনা কর্মীর স্ত্রী দেবীকা বন্দোপাধ্যায় ও মেয়ে রীতা বন্দোপাধ্যায়। তাদের গলাকাটা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। তখনও ঘরে চলছিল এসি।  স্ত্রী ও মেয়েকে গলাকেটে খুন করে ওই সেনা কর্মী ঘর থেকে বেরিয়ে মধ্যমগ্রাম স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই সেনা কর্মী অনুমান পুলিশের। পারিবারিক অশান্তির কারণে এই নৃশংস খুনের ঘটনা হতে পারে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে এদিন সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ একটি স্কুটিতে চেপে একজন মাঝবায়সী লোক মধ্যমগ্রাম ব্রীজের নিচে স্কুটিটি রেখে তড়িঘড়ি মধ্যমগ্রাম স্টেশনে এসে প্রথমে বনগাঁ লোকালের সামনে পরে ব্যার্থ হয়ে ডাউন হাবড়া লোকালে দুহাত পেছনে রেখে ট্রেনে লাইনের সামনে মাথা বাড়িয়ে দেন। তাঁর কাটা মাথাটি রেল লাইনের ভেতর এবং দেহ রেল লাইনের বাইরে পড়ে যায়। রক্তাক্ত হয়ে যায় ঘটনাস্থল। খানিক এগিয়ে যাত্রীদের চেচামেচিতে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। ওই দৃশ্য দেখে দুই মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। মৃত সেনা কর্মীর স্কুটিটি উদ্ধার করে বারাসত জিআরপিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

Comments :0

Login to leave a comment