তিনি মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তিনি জানেন না কোন দপ্তরে কি ভাবে নিয়োগ করা হয়! নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মমতা ব্যানার্জি। বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসির মালের সমর্থনে সভায় গিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘‘কোন দপ্তরে কি ভাবে চাকরি দেয় সেটা সেই দপ্তরের ব্যাপার। আমি তার মধ্যে ঢুকি না।’’
তিনি মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারের একটি দপ্তরের দিনের পর দিন চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হলো। টাকার বিনিময় চাকরি বিক্রি করা হলো আর তিনি জানতে পারলেন না। উল্লেখ্য এসএসসিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদনে সুপার নিউমেরিক্যাল পোস্ট (অতিরিক্ত পদ) তৈরি করা হয়। সোমবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাঁরা এই পদ তৈরি করেছে তাদের প্রয়োজনে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।
মমতা মন্ত্রিসভার মাথা। তার অনুমোদন না হলে কোন সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা বা সরকার নিতে পারে না। তার দলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতির জন্য যখন প্রায় ২৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি হারাতে চলেছে তখন নিজের দিক থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন সোমবার। যাদের চাকরি বাতিল করা হলো তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী একমাসের মধ্যে সেই টাকা তাদের ১১ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি এবং তার দলের লোকেদের লোভ ও লুঠের ফলে এই বিপুল চাকরি খারিজ হলো। যাদের চাকরি গেলো তাদের মধ্যে একটা অংশ স্বচ্ছতার সাথে চাকরি পেয়েছিল। তারা এখন কি করবে? তাদের তো বয়স বেড়ে গিয়েছে। যারা তৃণমূলকে টাকা দিয়ে কাজ পেয়েছিল তারা এখন কি করবে? এর দায় কিন্তু মমতা ব্যানার্জির। মনে রাখতে হবে ২০১৬ সালে মমতা শুভেন্দু একসাথে। শুভেন্দু মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। এখন সে বিজেপিতে। ফলে মমতা এবং শুভেন্দুর লুঠ বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিপর্যস্ত করছে।’’
Mamata Banarjee
কোন দপ্তরে নিয়োগ কি ভাবে, এখন বলছেন মমতা
×
Comments :0