পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক বেআইনি অস্ত্র। কোথাও তৃণমূল নেতার বাড়িতে মজুত থাকা বোমায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার নিজের বাড়ি। আবার নরেন্দ্রপুরে শিশুদের লক্ষ করে বোমা ছোঁড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। সেই বোমায় আহতও হয় দুজন শিশু। এছাড়া রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ধরনের ঘটনা প্রতিদিন সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন সেলিম।
সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি, শুভেন্দু অধিকারি, মুকুল রায়দের হাত ধরে রাজ্যে বেআইনি অস্ত্রের আমদানি শুরু হয়েছে।’’ তার কথায় ২০১১ সালের আগে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতে করার জন্য মাওবাদীদের রাজ্যে নিয়ে আসে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে মাওবাদীদের হাত ধরে তৃণমূল নিয়ে এসেছে। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। মাওবাদীদের হাতে জঙ্গলমহলে বহু সিপিআই(এম) কর্মী মারা গিয়েছেন।’’
উল্লেখ্য মাওবাদী নেতা কিষেনজীকে সেই সময় সংবাদমাধ্যমে বলতে শোনা যায় যে সে মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায়। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই একের পর এক খুনের মামলায় অভিযুক্ত মাওবাদী নেতারা মহাকরণে গিয়ে আত্মসর্ম্পনও করে। তৃণমূল সরকার তাদের সব সাজা মুকুব করে দিয়েছে তখন। বর্তমান বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারির সাথে কিষেনজীর ভালো সম্পর্ক অনেকেরই জানা। শুভেন্দু যখন তৃণমূলের যুব নেতা তখনও অভিষেক নেতা হয়নি। বলা ভালো নেতা হয়নি। শুভেন্দু অধিকারিকে সেই সময় ‘যুব সেনাপতি’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন কিষেনজী। সেই প্রসঙ্গে টেনে শুভেন্দু অধিকারিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক।
বগটুই গনহত্যার পর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ঘটনার একমাসের মধ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করার। এই প্রসঙ্গে টেনে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘বগটুইয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পুলিশকে সমস্ত বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটাও উদ্ধার হয়নি। এর দায় পুলিশকে নিতে হবে। না হলে বুঝতে হবে যে পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনছে না।’’
Comments :0