Watgunge Police

নিখোঁজ স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ির ফিরলেন ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা

রাজ্য

Missing wife and childrens ক্যাপশন- শুক্রবার কলকাতায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে রওনা দিলেন নীতিশ বর্মা।

অনিল কুন্ডু

মানসিক ভারসাম্যহীন নিখোঁজ স্ত্রী ও সন্তানদের ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা নীতিশ বর্মা। প্রায় ২০ বছর নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার কলকাতার ওয়াটগঞ্জ থানা থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মুম্বাই মেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি ছত্তিশগড়ের রাইপুরের রোটারি নগর এলাকায়।  
জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে রীণার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নীতিশ বর্মার। নীতিশের কথায়, বিয়ের পর তাঁদের এক সন্তান হয়। আচমকাই বাড়িতে সন্তান ফেলে স্ত্রী চলে যায়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করা হয়। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ৩ আগস্ট কলকাতায় রীণা ও তাঁর কোলে দেড় বছরের শিশুসহ উদ্ধার করে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তাঁর বাড়ির ঠিকানা তিনি ঠিকমতো বলতে পারছিলেন না। বেহালার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে তাঁকে রাখা হয়। 


ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের কথায়, আমরা বিষয়টি জানার পরেই আমাদের টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে খোঁজখবর নিতে শুরু করি। ভিলাইয়ে তাঁর মায়ের সন্ধান মেলে। প্রথমে মেয়ের কথা অস্বীকার করলেও পরে জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। ১ সন্তান হওয়ার পর অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এরপর রীণার প্রথম স্বামী নীতিশ বর্মার সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর তাঁর দ্বিতীয় স্বামী নীতেশ সিয়ারাম ডঙ্গরের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁকে রীণা ও তাঁর কোলের সন্তানের ছবি দেখালে জানতে চায় আর দুটি বাচ্চা কোথায়। তাঁর কথায়, তাঁর বউ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। একটি কারখানায় কাজ করতো। একদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখেন তিন সন্তান ও স্ত্রী ঘরে নেই। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর দুটি বাচ্চার খোঁজ করতে শুরু করি আমরা। জানতে পারি উড়িশার বাসিন্দা শীতল পট্টনায়ক ওই দুটি ছেলে মেয়েকে বালেশ্বর স্টেশন থেকে উদ্ধার করেন। নিজের বাড়িতে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। সেখানে যোগাযোগ করে দশ বছরের মেয়েটি ও পাঁচ বছরের ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়। তিন সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন রীণা। বালেশ্বরের কাছে ওই ছেলেমেয়ে তাঁর হারিয়ে গেলেও তাঁর কোন খেয়াল ছিল না। বছর দেড়েকের শিশুকে কোলে নিয়েই কলকাতার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তারপর তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে। অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস এদিন জানান, রীণার প্রথম স্বামী নীতিশ বর্মা স্ত্রী ও সন্তানদের ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। তাঁর হাতেই ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশের তরফে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। ওই দুই সন্তানকেও উড়িশাতে ট্রেনে তাঁদেরকে তুলে দেবে পুলিশ। 


 

Comments :0

Login to leave a comment