কিন্তু সপ্তদশ লোকসভায় বিরোধীদের কার্যত কথা বলতে দেওয়া হয়নি। কোন আলোচনা ছাড়াই একের পর এক বিল পাশ করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে হয়েছে পুরোন এক মামলায়। শীতকালিন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন ১৪০ জন বিরোধী সাংসদ।
বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের পর সংসদের যৌথ অধিবেশনে উঠে এসেছে নিট এবং নেট পরীক্ষার দুর্নীতির প্রসঙ্গ। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘সরকারি দপ্তরে এবং বিভিন্ন নিয়োগে স্বচ্ছতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকার স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষা পরিচালিত করার জন্য বদ্ধপরিকর। এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ রাষ্ট্রপতি যখন এই কথা বলছেন তখন বিরোধীদের দিক থেকে স্লোগান ওঠে ‘নিট, নিট’।
সর্বভারতীয় এই দই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেই ভাবে কোন বিবৃতি নেই। এনটিএ বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছে এসএফআই। চাপের মুখে এনটিএ সভাপতিকে বদল করেছে কেন্দ্র।
তবে এদিন বিজেপি সাংসদের মতো ১৯৭৫ সালের জরুরী অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ওই সময় দেশের গনতন্ত্রের জন্য অন্ধকার জনক অধ্যায়। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথমদিন থেকেই জরুরী অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাল্টা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গত দশ বছর দেশে অঘোষিত জরুরী অবস্থা চলছে। উল্লেখ্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই জেলে যেতে হয়েছে বহু সমাজকর্মীকে। এক লহমায় দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হয়েছে।
Comments :0