মুখ্যমন্ত্রী যখন পুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত। সেই সময় মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে প্রায় ২৪ টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। শুক্রবার ফের নদী ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকদারপুর গ্রামে। এদিন সকাল থেকেই একের পর এক বাড়ি, বেশ কয়েক বিঘে জমি নদীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। প্রায় চারটি বাড়ি নতুন করে নদীর গ্রাসে গিয়েছে। বাড়ির বাসিন্দারা বাড়ি থেকে আসবাবপত্র সরানোর সুযোগও পান নি। প্রায় কুড়িটি পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ি ভেঙে আসবাব, ইট সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ২৪ টি পরিবার।
সামসেরগঞ্জে গঙ্গার জলস্তর বেশ খানিকটা বেশি। এখনই এমন ভাঙন হলে, গঙ্গার জল কমলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়বে না তো ? প্রশ্ন গঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের। ভাঙন মোকাবিলায় সরকারি অপদার্থতা নিয়েও গ্রামে বাড়ছে ক্ষোভ। কিছু এলাকায় নদীর গর্ভে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বাঁশ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা, ভাঙন যে হতে পারে সেটা তো সরকার জানতই। তাও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি ? বেশ কয়েক বছর ধরে সামসেরগঞ্জে টানা নদী ভাঙন হচ্ছে। কেন নদী পাড়ের মানুষকে বাঁচাতে স্থায়ী কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার ? প্রশ্ন সামসেরগঞ্জের মানুষের।
শুক্রবার সকালে প্রতাপগঞ্জের শিকদারপুরে ভাঙনের হাহাকারের সঙ্গেই উঠে এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। এদিন নদীর ধারে দাঁড়িয়ে প্রতাপগঞ্জের বাসিন্দা আশরফ আলি বলেছেন, প্রতিদিন চোখের সামনে এক একটা করে ভাঙন হচ্ছে। সরকার কি দেখতে পাচ্ছে না। নদীর পাশের পাড়ার বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন। কেউ আশ্রয় নিচ্ছেন স্কুলে। বেশিরভাগ মানুষই আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলাম যদিও এদিন কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলেছেন। যদিও রাজ্য সরকার ভাঙন মোকাবিলায় কী করেছেন তা নিয়ে কিছু বলেন নি তিনি। সিপিআই(এম) ধূলিয়ান এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোদাসসার হোসেন বলেন, “ রাজ্য কেন্দ্র টালবাহানা বন্ধ করতে হবে। কোন সরকারই ভাঙন দুর্গতদের নিয়ে কিছু ভাবছে না। গ্রামের পর গ্রামের নদীর গর্ভ চলে যাচ্ছে। ভাঙন দুর্গতদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ এবং নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজের দাবি জানাচ্ছেন সিপিআই(এম)”।
Murshidabad Erosion
ফের ভাঙন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে, গৃহহীন ২৪ টি পরিবার
×
Comments :0