মহালয়ার দিন, বুধবার, ইরানের ট্রাক্টর এফসির সাথে এ এফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু নিরাপত্তায় শঙ্কা জানিয়ে খেলতে যায়নি মোহনবাগান। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছে। তবু মোহনবাগানকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র।
মোহনবাগান ম্যাচটি খেলতে না যাওয়ায় এএফসি’র তরফ থেকে বাতিল করা হয়েছে এই ম্যাচ। তবরিজের ইয়াদগার-ই-ইমাম স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল এই ম্যাচ। ২ অক্টোবর ম্যাচ খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত মোহনবাগান জানায় সেপ্টেম্বরের শেষে।
গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসন পরিধি বাড়িয়ে নেয় সেপ্টেম্বরেই। লেবাননের সঙ্গে তীব্র হয় সামরিক সংঘাত। লেবাননের হেজবোল্লা গোষ্ঠীর প্রধান নাসারেল্লা নিহত হন ইজরায়েলের হামলায়। তার আগে লেবাননে ছয়শোর বেশি নাগরিক নিহত হন ইজরায়েলের বিমানহানায়। নাসারেল্লার মৃত্যুর পরই ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সরাসরি ইরানের ভূখণ্ড এখন সামরিক সংঘাতের আওতায়।
ইরানের ট্রাক্টর এফসি যদিও মোহনবাগানের ‘হারের ভয়’-কে দায়ী করেছে খেলতে না আসার জন্য। নিজেদের ফেসবুক পেজে এই মর্মে পোস্টও করেছে এই ক্লাব।
মোহনবাগান যদিও দলের ৩৫ জন খেলোয়াড় স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র এএফসি-কে দিয়েছিল। নিরপেক্ষ জায়গায় ম্যাচটি খেলানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। মোহনবাগান দলে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ফুটবলার, স্প্যানিশ কোচিং স্টাফ, একজন স্কটিশ ও একজন পর্তুগিজ ফুটবলার। জানানো হয় যে এঁদের প্রত্যেককে নিজের নিজের দেশ থেকে ইরানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
যেখানে মোহনবাগানের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, সেই তবরিজের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদবাদমাধ্যম জানিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার, নিয়ম অনুযায়ী, খেলার আগের দিন আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্স হয়। উপস্থিত ছিলেন ট্রাক্টরের কোচ ও ফুটবলার। এছাড়াও , ম্যাচ কমিশনার ও রেফারিরাও চলে এসেছিলেন। তাই শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে।
শাস্তি হলে মোহনবাগানের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং এএফসি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাসন হতে পারে। যদিও এই ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি এএফসি।
MOHUN BAGAN AFC
ইরানের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র, তারপরও শাস্তি মোহনবাগানকে?
×
Comments :0