নতুনপাতা : জানা অজানা
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি হুইয়া
তপন কুমার বৈরাগ্য
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি হুইয়া পাখি।এই পাখিকে
নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপে দেখা যায়।এতো সুন্দর এবং
এতো বৈচিত্র্য রঙের পাখি পৃথিবীতে আর কোনো পাখি
কোথাও দেখা যায় না।শুনলে অবাক হতে হয় একটা হুইয়া পাখির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩লাখ টাকা। স্রী এবং পুরুষ
হুইয়া পাখির ঠোঁট দেখে বোঝা যায় কোনটা পুরুষ এবং
কোনটা স্ত্রী।এদের ঠোঁট হাতির দাঁতের মতন। স্ত্রীদের
ঠোঁট আকারে ছোট কিন্তু পুরুষদের উপরের ঠোঁটটা
আকারে বেশ বড়।এদের ঠোঁট হাতির দাঁতের মতন
সাদা এবং বড়। এদের পায়ের পাতা ধূসর নীল রঙের।
ঠোঁটের শেষাংশে দুপাশে দুদিকে দুটি গোলাকার হলুদ
রঙের প্যাড আছে।আঙুলগুলো হালকা বাদামী।
প্রতিটা পাখির ল্যাজে বারোটি করে পালক আছে।
পালকের শেষাংশ সাদা। পরিণত পাখির লেজের পালক
তিন থেক চার সেমি লম্বা হয়। নিউজিল্যান্ড ছাড়া এই
পাখি পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।তাঁর কারণ
নিউজিল্যান্ডে এবন তারাইরি,টোটারা গাছ জন্মায়।
এই গাছের ফল খেয়ে এরা জীবনধারণ করে। এই গাছে
এরা বাস করে।
এই পাখির আবাসস্থল নিউজিল্যান্ড।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই এই পাখি বিলুপ্তির পথে।
তার প্রধান তিনটি কারণ এই পাখির চামড়ার দাম খুব।
সেই চামড়া থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী সৌখিন
জিনিস তৈরী করা হয়।দ্বিতীয়তঃ এই পাখিরা যে গাছে
বাস করে সেই গাছের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে
যাচ্ছে। তৃতীয়তঃ এই পাখিরা খুব সাহসী।মানুষের কাছে
যেতে ভয় পায় না। তাই নিউজিল্যান্ডের উত্তরদ্বীপে
মাউরিয়া নামক এক উপজাতি বাস করে।তাঁরা এই
পাখির কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করতে পারে।তাঁরা এই
পাখির ডাক নকল করে এই পাখিদের নিজেদের কাছে
আনতে বাধ্য করে এবং তাদের ধরে লাখ লাখ টাকায়
বিক্রি করে ।এরা ভালো উড়তে জানে না। এই পাখির
কণ্ঠস্বর ভারী সুন্দর।আমাদের দেশের ময়না পাখির
মতন দেখতে এই পাখি। এই পাখির মাংস না খাওয়া
গেলেও এদের দেহের বিভিন্ন অংশ দিয়ে নানা দামী
দামী অলংকার তৈরী করা হয় এবং সেগুলো সৌভাগ্যের
প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়।
বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের সরকার কঠোরভাবে এই
পাখি ধরা ও হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন। সর্বনাশ
যা হবার যা হয়েগেছে।আজ এরা বিলুপ্তির শেষ পর্যায়ে
পৌঁছেগেছে।দুদিন পর হুইয়া পাখির নিদর্শন পাবো
আমরা যাদুঘরে।
Comments :0