ISERAELI MEDIA CASUALTY

লেবাননে প্রাণ গিয়েছে সেনার, স্বীকার ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমেই

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েল। শুরু হয়েছে চোরাগোপ্তা আক্রমণ। সেই নৈশ অভিযানের একাধিক ভিডিও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। এরই মাঝে  ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম‘দ্যা টাইমস অফ ইজরায়েল’ জানাচ্ছে, বুধবার হেজবোল্লার সঙ্গে সংঘর্ষে ইজরায়েল সেনার ৭ জওয়ান এবং ২জন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার প্রাণ হারিয়েছে। 
নিহতরা হলেন, ক্যাপ্টেন হারেল এটিঙ্গার, ক্যাপ্টেন ইটাই এরিয়াল গিয়াট, নোয়াম বার্জিলেই, ওর মন্টজুর, নজার ইটকিন, আল্মকেন তেরেফে এবং ইডো ব্রোয়ার। 
‘টাইমস অফ ইজরায়েল’ জানাচ্ছে, দক্ষিণ লেবাননের পার্বত্য গ্রামীণ এলাকায় হেজবোল্লা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইজরায়েলের। এর পাশাপাশি আরও এক অফিসার এবং ৪ জন সেনা জওয়ান সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছে। আহত এবং নিহতরা গোলানি ব্রিগেড এবং এঘজ কমান্ডো ইউনিটের সদস্য।
হেজবোল্লার তরফে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৩টি ইজরায়েলি মেরকাভা ট্যাঙ্ক তারা ধ্বংস করেছে। যদিও সেই দাবির সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি।
লেবাননের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ লেবাননের আল-আদিসা গ্রামে বিনা বাধায় ইজরায়েলী বাহিনীকে ঢুকতে দেয় হেজবোল্লা। তারপর তারা অতর্কিতে হামলা চালায়। এই হামলায় ৪ ইজরায়েলী জওয়ান প্রাণ হারায়। ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ইজরায়েলী সেনা এই হামলায় ২জনের মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছে। এর পাশাপাশি মারুন আল-রাস গ্রামেও ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইজরায়েল। লেবানিজ সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই গ্রামে আহত এবং নিহতের মিলিত সংখ্যা ৩৫ ছাড়িয়েছে। ইজরায়েলের তরফে যদিও এখনও সরকারি ভাবে এর সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। 
অপরদিকে বুধবার সকালে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস শহরে বিমান হানার অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগেও সিরিয়ায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই দফায় একাধিক ইজরায়েলী ক্ষেপনাস্ত্র গুলি করে নামাতে সফল হয়েছিল সিরিয়ার সেনা। ইজরায়েলের অভিযোগ, সিরিয়ার মাটি ব্যবহার করে হেজবোল্লাকে অস্ত্র সহায়তা করে ইরান। সেই ইরান ঘনিষ্ঠ শক্তিগুলিকেই নিশানা করা হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ১০ টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

Comments :0

Login to leave a comment