দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও থামার লক্ষণ দেখাচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদী। বুধবারও জারি থাকল তাঁর উগ্র সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ভাষণ।
এদিন মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় সভা করেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস হচ্ছে অন্যান্য অনগ্রসর অংশ বা ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের সবথেকে বড় শত্রু। কংগ্রেস কর্ণাটকে মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণের অংশ বানিয়েছে। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে ওবিসিদের বঞ্চিত করছে কংগ্রেস।’’
মোদীর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস নির্বাচনে জিতলে গোটা দেশে এই মডেল চালু করবে। সংবিধানে বলা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া যাবে না। কিন্তু বাবাসাহেব আম্বেদকরের অপমান করে কংগ্রেস সংবিধানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।’’
মোদীর সংযোজন, ‘‘বিজেপি ৪০০’র বেশি আসন পেলেই একমাত্র সংবিধান সংশোধন আটকানো যাবে, এবং ওবিসিদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।’’
বিরোধীরা সহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করাচ্ছেন, আদর্শগত ভাবে আরএসএস সংবিধানের বিরোধী। আরএসএস’র তাত্ত্বিকদের লেখায় ধারাবাহিক ভাবে সেই কথা উঠে এসেছে। দেশের বহু মানুষের আশঙ্কা, বিজেপি ৪০০’র কাছে আসনে জিতলে সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজন বিপুল সংখ্যা পাবেন মোদী। এই অংশের সঙ্কা, সেক্ষেত্রে দেশে সংরক্ষণ উঠে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে প্রচারে নিয়ে এসেছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। পরিস্থিতি কোনওমতে সামাল দিতে পালটা ওবিসি সংরক্ষণের তাস খেলার চেষ্টা শুরু করেছেন মোদী।
এর পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রবাসী শাখার সভাপতি স্যাম পিত্রোদার একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছেন মোদী। পিত্রোদা বলেছেন, দেশে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অতি ধনীদের উপর উত্তরাধিকার কর চাপানো উচিত। আমেরিকা সহ পশ্চিমী দুনিয়ার একাধিক দেশে এই কর রয়েছে। সেই মন্তব্যকে বিকৃত করে বিজেপি প্রচার শুরু করেছে, সাধারণ মানুষের উপর এই কর চাপিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে কংগ্রেস।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ‘‘আমরা কবে বলেছি এই কর চাপাবো? আমাদের এইরকম কোনও ইচ্ছা নেই। নরেন্দ্র মোদী ভোট পাওয়ার জন্য আমাদের মুখে কথা বসানোর চেষ্টা করছেন।’’
Comments :0