Normal Rain fall In India

দাপট চালাবে এল নিনো, তবুও বর্ষার সঙ্কটে কমবে না ফলন

জাতীয়

শুক্রবারই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর(আইএমডি) জানিয়েছে চলতি বছরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। আইএমডি অনুসারে, সমগ্র ভারতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ৯৬ শতাংশ আশা করা হচ্ছে। যদিও, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সামান্য ঘাটতি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ৯২ শতাংশের কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। যদিও এল নিনোর প্রভাবের মধ্যেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত যথেষ্ট আশানুরুপ বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ভারতে ঢোকার জন্য ভারত মহাসাগরের ভৌগলিক কারণ যা ইন্ডিয়ান ওসেন ডায়াপোল হিসেবে পরিচিত তা ইতিবাচক। অর্থাৎ মৌসুমী বায়ু স্বাভাবিক প্রবেশ করলেই বৃষ্টিপাত আশানুরুপ হবে। আইএমডি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের আরও দাবি উত্তর মেরুতেও স্বাভাবিকভাবে তুষারপাত হচ্ছে। যা মৌসুমীবায়ুকে ভারতের স্থলভাগে ঢুকতে সাহায্য করে। যদিও ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২০২৩’র মে প্রযন্ত দফায় দফায় তাপ প্রবাহ হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। তবে এই তাপপ্রবাহ ও অতিরিক্ত গরমে শুধু ভারত নয়, পুড়েছে মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশ গুলো। 


তবে ভারতের মতো কৃষ্টি নির্ভর দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত অত্যন্ত জরুরী। বিশের করে এই বৃষ্টি পাতের ওপরেই দেশের চাষ আবাদের বিষয়টি নির্ভর করে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত মানেই ফলন ভালো হবে। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের সময়টি হচ্ছে ভারতে বর্ষার সময়। এপ্রিল-মে’তে ধান রোপন করা হলে তা কাটা হয় জুন জুলাই মাসে। সে সময় ভরা বর্ষা। যা ফসলের জন্য আদর্শ সময়। শুধু ধান নয় অন্যন্ন মরশুমি ফসলের ফলনও ভালো হবে বলে করা হচ্ছে। যদিও আইএমডি বলেছে বর্ষার শেষ ভাগ অর্থাৎ জুলাইয়ের শেষে বৃষ্টি কমতে পারে। কারণ সেই এল নিনো। যদিও আবার সেপ্টেম্বরের দিকে সেই ঘাটতি মেটাবে বলে আশা করা যায়। ২০২২’র জুনে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি ছিল পশ্চিমবঙ্গে। যার ফলে রাজ্যে চাষবাসের ওপর ব্যপক প্রভাব পরে। পরে সেই ঘাটতি মিটলেও বর্ষার প্রথমে বৃষ্টি না পেয়ে মাঠেই নষ্ট হয় প্রচুর ফসল।

Comments :0

Login to leave a comment