ফের ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশে। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে বাহুবলী রাজনীতি বিদ আতিক আহমেদ’র পুত্র আসাদ আহমেদকে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করার অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশে খুন হন আইনজীবী উমেশ পাল। সেই ঘটনায় জেলবন্দী বাহুবলী আতিক আহমেদের পুত্র আসাদের নাম জড়ায়। উমেশ পালের স্ত্রী আসাদ, আতিক আহমেদের স্ত্রী শায়িস্তা পারভিন সহ ৯ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেন।
বর্তমানে আহমেদাবাদের জেলে বন্দী রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ। আদালতে হাজিরার সময় তিনি একাধিকবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উমেশ পাল হত্যাকান্ডের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনও যোগ নেই। তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, ভুয়ো এনকাউন্টারে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা হতে পারে। বৃহস্পতিবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
এদিন উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাইকে করে ঝাঁসি হয়ে মধ্যপ্রদেশে পালানোর চেষ্টা করছিলেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী ঘুলাম। আসাদ ছদ্মবেশে ছিলেন। আতিকের দলেরই একজন মারফৎ সেই খবর পান উত্তর প্রদেশ পুলিশের এসটিএফ’র গোয়েন্দারা। দুই ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘুলাম এবং আসাদকে ধাওয়া করা হয়।
পুলিশের দাবি, প্রথমে পুলিশকে লক্ষ করে ঘুলাম গুলি চালান। পুলিশ তার পালটা জবাব দেয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পরে আসাদ এবং ঘুলাম প্রাণ হারান।
পুলিশের এই দাবি ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমাজবাদী পার্টি সহ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, এনকাউন্টারে মৃত্যু হলে আসাদের শরীরে ৪২ রাউন্ড গুলি কী ভাবে লাগা সম্ভব? তাঁদের অভিযোগ, ঠান্ডা মাথায় অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে আসাদ এবং ঘুলামের শরীর ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির দাবি, পুলিশকে ব্যবহার করে জিঘাংসা চরিতার্থ করছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
এদিন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব টুইট করে বলেন, ‘‘ভুয়ো এনকাউন্টার করে আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে উত্তর প্রদেশ সরকার। বিজেপি আইন আদালতে বিশ্বাস করে না। আজকের সহ রাজ্যে হওয়া সমস্ত এনকাউন্টারের যথাযত তদন্ত হওয়া উচিত, এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। ঠিক ভুলের বিচার করার অধিকার সরকারকে কে দিয়েছে?’’
তিনি এর সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বিজেপি চায় না সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় থাকুক’’।
Comments :0