PADDY BURNT CHANDRAKONA

উচ্ছেদের হুমকির পর ধানের গাদায় আগুন চন্দ্রকোনায়, অভিযুক্ত তৃণমূল

জেলা

প্রান্তিক কৃষক দীপক সিং এবং রূপচাঁদ সিংয়ের পুড়ে যাওয়া ধান। চন্দ্রকোনা থানার হিরাধরপুরে। ছবি চিন্ময় কর

পাট্টা জমি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। চন্দ্রকোনা থানা এলাকায় সেই দুই কৃষকের ধানের গাদা পুড়ে খাক আগুনে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই পরিবারের প্রায় একশ মন ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 
দুই কৃষক জানিয়েছেন, কেরোসিন ছড়িয়ে দিয়ে দুটি ধানের গাদায় আগুন লাগানোয় প্রায় ৫ বিঘা জমির পাকা ধানের বেশিরভাগ পুড়ে ছাই। সর্বস্বান্ত হয়েছেন দুই প্রান্তিক কৃষক। 
এমন ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার মনোহর-১  গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হিরাধরপুর মৌজায়। ক্ষতিগ্রস্ত দুই পাট্টাদার পরিবারের কৃষক হলেন দীপক সিং এবং রূপচাঁদ সিং। সম্পর্কে তাঁরা তুতো ভাই। 
রূপচাঁদ সিং এবং তাঁর পরিবার পোড়া ধানের আঁটি ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। রপচাঁদ জানিয়েছে যে তাঁর বাবা শঙ্কর সিং সিপিআই(এম)’র সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের সময়েই ভূমিহীন অন্য কৃষকদের মতো তাঁরাও ১২ কাঠা পাট্টা পেয়েছিলেন। তারপর পরিশ্রম করে বাবা ও ছেলে মিলে আরও ৮ কাঠা জমি কেনেন। সেই দুই বিঘা জমির ধান বাড়ির সামনে আস্তানায় গাদা দেওয়া হয়েছিল। বার বার তাঁদের পাট্টা জমি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি ছিল। 
মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ দেখতে কৃষক পরিবারটি দেখতে পায় ধানের গাদায় দাউ দাউ করে আগুন চলছে। গাদার চারদিকে কেরোসিন ছড়িয়ে দেওয়ার গন্ধ তখনও আগুনের সাথে ছড়িয়ে পড়ছে। মেশিন দিয়ে পুকুরের জল ও সাব মার্শিবল থেকে পাইপে জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজে পাড়ার সমস্ত পরিবার ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগুন আয়ত্বে আনার আগেই বেশিরভাগ ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাঠের ধান তুলে পরের জমিতে দিনমজুরির কাজ ও আলু লাগানোর কাজ করে কিছু আয় করার জন্য ধান না ঝেড়ে গাদা দিয়ে রেখে ছিলেন। বুধবার থেকেই সেই ধান ঝাড়ার কাজ করার জন্য ঝাড়াই মেশিন ভাড়া করে ছিলেন। তার একদিন আগেই তাদের সর্বস্বান্ত করে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। 
অপর কৃষক দীপক সিং তিন বিঘা জমির ধান গাদা দিয়ে রেখেছিলেন। পুরো বিষয়টি দুই পরিবার পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে  ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ক্ষীরপাই ফাঁড়ি পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment