ডিউটিরত অবস্থায় সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশ কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া হাসপাতালে। গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মীর নাম হিমাংশু মাঝি।  পুলিশকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
৩ মার্চ বিয়ে ছিল পুলিশ কর্মী হিমাংশু মাঝির। বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়ি, সেখানেই ছুটি নিয়ে শুক্রবার চলে যাবার কথা ছিল। তার আগেই হাসপাতালে ডিউটি করা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন।  জানা গেছে সার্ভিস রিভালভার থেকেই নিজের মাথায় গুলি করেন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন র্যাইফে। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁর সহকর্মী যখন হাসপাতালের শৌচালয়ে গিয়েছিলেন তখনই ঘটে এই ঘটনা। হঠাৎ করেই গুলির শব্দে চমকে ওঠেন হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের পরিবার। তখনই এক রুগী হাসপাতালের শৌচালয়ে গিয়ে হিমাংশুর সহকর্মীকে খবর দেয় গুলি চলেছে। কয়েকজনের সাহায্যে তাঁকে আই সিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভেন্টিলেশনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে আসেন চন্দনগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি হেডকোয়াটার ঈশানি পাল, ডিসিপি চন্দননগর অলকানন্দ ভাওয়াল, সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনার সময়কার প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ আধিকারিকরা। সাতসকালেই পুলিশের ছয়লাপ হাসপাতাল চত্বর। এদিন দুপুরে শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মীকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে করিডোর করে সিএমআরআই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে করিডোর করে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 
পুলিশ কমিশনার ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যার চেষ্টা। আমরা তাঁর পরিবারকে খবর দিয়েছি। কি কারণে এই ঘটনা সেটা দেখা হচ্ছে। ছুটি নিয়ে কোন সমস্যা ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দার জানান, খবর পাই হাসপাতালে গুলি চলেছে। জানতে পারি হাসপাতালের যে লকআপ রয়েছে সেখানে কর্তব্যরত যে পুলিশ কর্মী ছিলেন তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কিভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন কি কারণে পুলিবিদ্ধ হলেন সেটা বলতে পারবো না। হাসপাতালে অনেক রোগী ও তাদের পরিবার থাকে তাই এই ঘটনায় হাসপাতালে একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়। যে ঘটনা হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পাশাপাশি ছুটি মিলছে না ডিউটির চাপে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি ট্রাফিক কনস্টেবলের, ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশ লাইনে ক্লোজড তপন দে।
একটি সূ্ত্রে জানা গেছে ডানকুনিতে কর্তব্যরত ছিলেন তপন তার অভিযোগ কুশল ঘোষ নামে এক পিএসআই তার বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে, ছুটিতে যেতে চাইলে ছুটি মেলে না। ভিডিও করে পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তপন দে পুলিশ মহলে ভিডিও ভাইরাল হতেই তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।