জুন মাসের বন্যার স্রোতে ভেঙে ভেষে গিয়েছিলো সাঁকো। টানা প্রায় ৫ মাস জল যন্ত্রনায় এলাকার ১২টি মৌজার মানুষ। প্রসাশনকে বারে বারে জানিয়েও মিলেনি প্রতিকার। সরকার ও পঞ্চায়েতের উপর আস্থা হারিয়ে নদী পারাপারের জন্য গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে নির্মাণ করলেন বাঁশের সাঁকো। প্রায় দেড়শ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণে এলাকার মানুষ কেউ দিলেন শ্রম, কেউ দিলেন টাকা ও বাঁশ। প্রায় ২ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে দশ গ্রামের মানুষ নিজেরাই তৈরী করলেন সাঁকো। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের নিত্যানন্দপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর ওপর।
এলাকার মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "সেই জুন মাস থেকে ভেঙে পড়া সেতুটি নির্মাণে যতবারই দাবি জানান ততবারই বলা হয় টাকা বরাদ্দ এখনও হয়নি। গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে গেলে কর্মীরা বলেন, "আজ ৭ মাস গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে কোনও টাকাই বরাদ্দ করেনি রাজ্য সরকার। গ্রামীন বেহাল রাস্তা সহ নদী পারাপারের সাঁকো বহু জায়গায় বন্যার জলের স্রোতে ভেঙে গেলেও প্রসাশন নির্বিকার। এলাকার বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধিরাও নীরব।
সেতু নির্মাণ না করায়, চরম সমস্যায় পড়তে হয় ওই এলাকার কেসাডাল, পাচামি, দেওয়ান, কালিকাপুর সহ ১২টি গ্রামের সাধারণ মানুষেরকে। বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় নৌকায় করেই চলতো ঝুঁকির পারাপার। গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে যাতায়াতের জন্য নদীর উপর তৈরি করলো সাঁকো। সাঁকো তৈরীতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়ছে বলে দাবি গ্রামবাসীর।
স্থানীয়রা বলেন, "বাম জমানায় এখানে কাঠের সেতু নির্মাণ হয়েছিল। দীর্ঘ বছর মেরামত ও সংস্কার না করায় ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। তারপর থেকে কখনও প্রশাসন, কখনও এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মাণ করে নদী পারাপার করে আসছে। বাম জমানায় এখানে স্থায়ী কংক্রিটের সেতুর জন্য মাটি পরীক্ষা সহ জমি অধিগ্রহনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তৃণমূল সরকার আসার পর এখন বাঁশের সাঁকো নির্মাণেও বরাদ্দ হয় না।"
bridge
মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসন, সাঁকো নির্মাণ করলেন ১২ মৌজার মানুষ

×
Comments :0