চলতি বছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বা মাঝামাঝি থেকে রাজ্য চালু হতে পারে এসআইআর প্রক্রিয়া। কমিশনের সূত্র মারফত খরব আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কমিশন। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সব রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে এসআইআর নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর সংক্রান্ত কাজ শেষ করার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ২০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ছাপিয়ে ফেলতে হবে কমিশনকে। অর্থাৎ যেই কাগজ নিয়ে বিএলও’রা বাড়ি বাড়ি যাবেন এসআইআরের সময় সেই ফর্ম কমিশনকে ছাপিয়ে ফেলতে হবে।
উল্লেখ্য বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় সাথে তিন হাজার বর্গ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল কমিশন। সূত্রের খবর এরাজ্যে প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তাদের কথায় পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো ভোটার নিয়ে যেহেতু একাধিক অভিযোগ বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে তাই এই সিদ্ধান্ত।
এই রাজ্যে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে বার বার সরব হয়েছে সিপিআই(এম)। একাধিক বার কমিশনের দপ্তরে পর্যাপ্ত প্রমান সহ আবেদনও জমা করা হয়েছে কিন্তু কোন নাম বাদ দেওয়া হয়নি। উল্টে মৃত ভোটারদের নাম থেকে গিয়েছে তালিকায় এবং বিভিন্ন নির্বাচনে দেখা গিয়েছে এই ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নাম থাকায় দেদার ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল।
প্রশ্ন এখানেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন কমিশন ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেয়নি? কমিশনের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়ায় ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নামই বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে অনেকে পরিকল্পিত নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া হিসাবে দেখছে। সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী দল গুলোর কথায়, এই এসআইআরের ফলে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে গরীব প্রান্তিক অংশের মানুষ জনের।
কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০০২ এর ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ সবার কাছে রাখতে হবে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা। কিন্তু সেই তালিকা বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে আলাদা। বদলেছে পার্ট নম্বর। সেই তালিকা ইন্টারনেট থেকে নামানোর সুযোগ সবার কাছে আছে কী না সেই প্রশ্ন থাকছে।
Election Commission of India
দুদিন দিল্লিতে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন, হতে পারে এসআইআর আলোচনাও

×
Comments :0