Kasba College Rape

অন্য কলেজে কসবার নির্যাতিতা, চেনাচ্ছে তৃণমূলের শাসনকে, ক্ষোভ এসএফআই’র

রাজ্য কলকাতা

গত ২৭ জুন কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের প্রতিবাদে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই‘র কর্মীরা।

আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এসেছিল সেই ছাত্রী। নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই অন্ধকার সময় দগদগে ঘায়ের মতো রয়েছে। ফলে আর কসবার আইন কলেজে ফিরছেন না সেই ছাত্রী। 
নির্যাতিতা ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন কলকাতারই অন্য এক বেসরকারি কলেজে। গত বুধবারই তাঁর ভর্তির সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তার দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। 
নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, "মেয়ে সরকারি আইন কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁর আর সেই কলেজে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। মানসিকভাবে সে বিধস্ত হয়ে রয়েছে।" 
সরকারি কলেজ থেকে অন্য একটি বেসরকারি কলেজে চলে যাওয়ার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকেও বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছে ওই ছাত্রীকে। এক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও সহযোগিতা করেছে তাঁকে। 
এই ঘটনার পর গোটা রাজ্যে শিক্ষা প্রাঙ্গণে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এসএফআই দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছে ক্যাম্পাসের ভিতর ছাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে। এছাড়াও সংগঠন দাবি করেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় চাই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ। নির্বাচন বন্ধ রাখার পর দীর্ঘ আট বছর পার হয়েছে। কিন্তু তাও রাজ্য সরকার ছাত্র সংসদ নির্বাচন করেনি। 
এসএফআই অভিযোগ করেছিল যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার ফলেই মনোজিতের মতো দুষ্কৃতীরা ক্যাম্পাসের দখল নিয়েছে। 
এসএফআই'র রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, "ছাত্রীরা হয় লেখাপড়া করতে ক্যাম্পাসে যাবে না, নয় পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে ক্যাম্পাস থেকে - এইরকম বাংলাই তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।’’
দেবাঞ্জন বলেছেন, ‘‘ক্যাম্পাসে ‘মনোজিত মডেলের’ শিকার হয়েছে বহু ছাত্রছাত্রী। বাধ্য হয়েছে ক্যাম্পাস ছাড়তে। কেউ লেখাপড়া ছেড়েছে, কেউ বেসরকারি জায়গায় অনেক বেশি টাকায় পড়তে বাধ্য হয়েছে।’’ তাঁর আহ্বান, ‘‘সরকারি ক্যাম্পাস রক্ষা করতে সবাই এক হোন।"
চলতি বছরের ২৫ জুন সন্ধ্যায় কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের শিকার হন প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। কলেজের নিরাপত্তার রক্ষীর ঘরের মধ্যেই নির্যাতন চালায় ওই কলেজেরই প্রাক্তনী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ মিশ্র। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ সহ পুলিশ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে মনোজিৎ জেল হেপাজতে রয়েছে। এছাড়াও আরও দুই ছাত্র তারাও রয়েছে হেপাজতে। সম্প্রতি নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী ব্যানার্জিকে জামিন দিয়েছে আদালত।

Comments :0

Login to leave a comment