Rahul Gandhi defamation case

মানহানী মামলায় রাহুল গান্ধীকে অপেক্ষা করতে হবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত

জাতীয়

মানহানী মামলায় সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে। সঙ্গে দিয়েছিল দুবছরের কারাদন্ড। মামলাটি করেছিলেন গুজরাটেরই বিধায়ক পুর্ণেশ মোদী। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাট জেলা-দায়রা আদালতে মামলা করেছিলেন রাহুলের আইনজীবী। সেই মামলার শুনানী এদিন হলেও রায়দান করেননি বিচারপতি। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে রাহুল গান্ধিকে। সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদন্ড দেওয়ার পর রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।


আদালতে রাহুলের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন মানহানী মামলা অনুযায়ী যে ব্যক্তির মানহানি করা হয়েছে শুধু সেই মামলা কর্তে পারেন। আইপিসি’র ৪৯৯ ধারার উল্লেখ করে রাহুল গান্ধির আইনজীবী আরও বলেন কোনও সংস্থা বা গোষ্ঠীর মানহানী করা হলেও সেই গোষ্ঠী বা সংস্থার সদস্যরা  মানহানির মামলা করতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধি কোনও নির্দিষ্ট মোদী নামের ব্যক্তিকে বা গোষ্ঠীকে আক্রমন করেনি। কারণ মোদী কোনও গোষ্ঠী নয়। এই কারণ দেখিয়ে পুর্ণেশ মোদীর আবেদন আইনত সঠিক নয় বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধির আইনজীবী। আদালত পাল্টা পূর্ণেশ মোদীরও আবেদন শোনে।


প্রায় চার বছর আগে কর্ণাটকের কোলারে এক জনসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে মোদী উপাধি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। বলেছিলেন ‘নীরব মোদী, ললিত মোদী, নরেন্দ্র মোদী’ সব চোরেদের উপাধি মোদী হয় নাকি?’ ওই মন্তব্যকে টেনেই রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন পূর্ণেশ মোদী। রাহুল গান্ধী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সমস্ত মোদী পদবির ব্যক্তিদের অপমান করেছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধী সে সময় কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন তার এই ধরণের মন্তব্য জন মানসে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে বলেও আদালতে জানান পুর্ণেশ। আপাতত রাহুলের সাংসদপদ থাকবে কি না তা জানতে পারা যাবে ২০ এপ্রিল।

Comments :0

Login to leave a comment