শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন সোমবার। যাদের চাকরি বাতিল করা হলো তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী একমাসের মধ্যে সেই টাকা তাদের ১১ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের এই রায়ের পর শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছেন তাদের হয়ে তারা আদালতের আইনি লড়াই লড়বেন। বৃহস্পতিবার এবিটিএ’র এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু যোগ্যতার সাথে চাকরি পাওয়া এসএসসি ২০১৬ সালে প্যানেলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবিটিএ ভবনে গিয়ে আইনি ফর্মপুরন করছেন।
এবিটিএ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি কোন ভাবে কেড়ে নেওয়া যাবে না।
রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতির কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক তাদের চাকরি হারাতে বসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতিতে দাবি করছেন তিনি জানেন না কোন দপ্তর কি ভাবে নিয়োগ করেছে।
উল্লেখ্য এসএসসিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদনে সুপার নিউমেরিক্যাল পোস্ট (অতিরিক্ত পদ) তৈরি করা হয়। সোমবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাঁরা এই পদ তৈরি করেছে তাদের প্রয়োজনে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন যে সুপার নিউমেরিক্যাল পোস্টে কোন চাকরি দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একজনকে ওই পোস্ট থেকে চাকরি দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন যে, এসএসসি যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা হাইকোর্টের কাছে জমা দিয়েছে।
তবে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে গোটা এই দুর্নীতির দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির কাঁধে চাপিয়েছে তৃণমূল। ব্রাত্য বসুর পাশে বসে কুণাল ঘোষ বলেন, এই দুর্নীতির দায় পার্থ চ্যাটার্জির। দলের নয়।
Comments :0