sujan chakraborty

লোকদেখানো তল্লাশি, রাজভবনের ধরনা গরিবের জন্য নয়: চক্রবর্তী

রাজ্য

sujan chakraborty


সিবিআই তল্লাশি হয়েছে। তবে এর কোনও মানে আছে কিনা সে প্রশ্ন উঠবেই। লোকদেখানো কারবার বলে সবাই মনে করছেন। 
সোমবার সিবিআই তল্লাশির পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এর আগে রবিবারও ১২ জায়গায় তল্লাশি হয়েছে পৌর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও তল্লাশি হয়েছে।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘ভয়াবহ দুর্নীতি কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সিবিআই খুঁজে বের করবে তো? নাকি কেবল খোঁচাখুচি চলবে? মাথা পর্যন্ত তো যেতে হবে।’’
অপরাধের মূল পর্যন্ত না যাওয়ায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। সিপিআই(এম) প্রশ্ন তুলেছে, দিল্লি থেকে কার নির্দেশে তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে সেটিও দেখা দরকার।
সোমবার রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জির বাড়িতেও হয়েছে তল্লাশি। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘এই বিজেপি বিধায়ক আগে কিন্তু তৃণমূলের নেতা ছিলেন। তৃণমূল পরিচালিত পৌর বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন।’’
এদিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার পর অবস্থান তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা না এলে ফের ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘রাজভবনে যাঁরা তৃণমূলের বাহিনী ছিলেন তার মধ্যে কিন্তু বিজেপি’র এমএলএ-ও রয়েছেন। কখন কে তৃণমূল আর কখন কে বিজেপি ওই হিসেব করে লাভ নেই।’’ 


মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, পৌর নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি জড়িত নন। আইনি বা প্রশাসনিক দিক থেকে তাঁর দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ করতে হয় না। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘পৌরমন্ত্রী যদি না জানেন তা’হলে তাঁকে তো বলতে হবে কে জানে।’’  রবিবার বাড়িতে তল্লাশির পর হাকিম বলেছিলেন, ‘‘সুজন চক্রবর্তী বা বিকাশবাবু (ভট্টাচার্য) বলুন আমি কি চোর?’’ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘অবস্থা এমন যে সততার সার্টিফিকেট দলের কারও থেকে চাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারাও জানেন দলের যত বড় নেতা তত বড় চোর।’’ 
সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তদন্তের নামে ধামাচাপা হচ্ছে কিনা এ প্রশ্ন আমাদের আছেই। যাঁরা নবান্ন এবং কালীঘাটের কলকঠি নাড়েন তাঁদের বাদ দিয়ে এই তদন্তের কোনও মানে আছে নাকি? তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত করুক। চিহ্নিত হোক কে কারা কতটা দায়ী।’’ 
রাজভবনে তৃণমূলের আন্দোলন প্রসঙ্গে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দেখনদারি হয়েছে। গরিব মানুষের টাকা পাওয়ার আন্দোলন নয়। দিল্লিতে যদি টাকা আদায়ের জন্য যেতে হয় তা’হলে মন্ত্রীর সঙ্গে আধিকারিককে যেতে হয়। যাঁরা প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় নিয়মিত যুক্ত থাকেন। যাতে কেন্দ্রকে দেখাতে পারে যে টাকা দেওয়া হয়নি।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দেখনদারি করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়েছে। শেষমেষ কোনওভাবে রাজ্যপালের সহায়তায় ব্যবস্থা হয়েছে উদ্ধার করার। আর কিছু টাকা এলে ভোটের আগে ‘জিতেছি জিতেছি’ বলে প্রচারের চেষ্টা হবে।’’

 

Comments :0

Login to leave a comment