আরজি কর হাসপাতালে ছাত্রী হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ পথে নেমেছে। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে লাখো মানুষ সরব হয়েছেন। সেই সময়ে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপি মেরুকরণ ফের চাঙ্গা করতে বিজেপিকে সাহায্য করছে পুলিশ প্রশাসন। বুধবার বন্ধ ডাকা হয়েছে, আশঙ্কা থাকছে সেইদিন মানুষের ঐক্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হতে পারে। সেইমত আমরা সতর্ক অবস্থান নেব। মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা এই মর্মে ভিডিও বার্তা দিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম বলেছেন, ‘‘আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের সব অংশের মানুষ যখন প্রতিবাদে নেমেছেন, তখন বিজেপি তাকে দিকভ্রান্ত করতে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করতে নেমেছে। এরাজ্যের রাজনীতিতে বিজেপি এবং তৃণমূল তাদের হারিয়ে যাওয়া দ্বিমেরু রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। প্রশাসনকেও সেই কাজে নামানো হয়েছে। সেজন্যই আজ নবান্নে বিজেপি’র কর্মসূচীতে যত না আন্দোলনকারী ছিলেন তার থেকে বেশি পুলিশী বন্দোবস্ত, যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া সাজিয়ে সরকারি তরফেও প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পরিকল্পিত চোর-পুলশ খেলা।’’
সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক এদিন বলেছেন, ‘‘সাজানো চিত্রনাট্য। আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনা এবং তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে, অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে মানুষ সোচ্চারে রাস্তায় নেমেছেন। ‘তোমার স্বর, আমার স্বর,/আর জি কর, আর জি কর’ এই স্লোগানে রাজ্যের সর্বত্র সব অংশের নানা পেশার মানুষ পথে নেমেছেন। আমরা চাই অবিলম্বে ন্যায়বিচার হোক। ন্যয় বিচারের আন্দোলনে আমরাও সামিল। বামপন্থী দল, বামপন্থী মানুষজন, ছাত্র-যুব- মহিলা সবাই রাস্তায় রয়েছেন। এই প্রতিবাদ আন্দোলন যতো তীব্র হচ্ছে, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার বদলে প্রতিবাদীদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কেস সাজানো হচ্ছে। এভাবে প্রতিবাদকে থামানো যাবে না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুঁইফোড় ছাত্র সমাজের নাম করে নবান্নে যাওয়া কিংবা বনধ্ ডেকে মানুষকে দিকভ্রান্তও করা যাবে না। মানুষের প্রতিবাদের কর্মসূচী চলবে। কিন্তু বিজেপি যখন বনধ্ ডেকেছে তখন সাবধান হতেই হবে, কারণ এই অছিলায় তারা মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ভাঙতে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টাও করতে পারে। তার জন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’’
Comments :0