Dhupguri Murdered

ধূপগুড়িতে জোড়া খুন, তদন্তে পুলিশ

জেলা

Dhupguri Murdered ক্যাপশন- সূর্য সেন কলোনিতে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তদন্তে পুলিশ। ছবি সঞ্জিত দে

সঞ্জিত দে- ধূপগুড়ি


এক রাতে জোড়া খুন। পৃথক দু'টি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে। একদিকে মহিরার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়েছে অন্যদিকে, এক ব্যক্তির গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে দুই স্থানে দুই দেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ধূপগুড়ি শহরে এবং মল্লিক শোভা গ্রামে। এদিন সকালে শহরে বস্তা বন্দী বিবস্ত্র বৃদ্ধার মৃত দেহ উদ্ধার, ঘটনায় চাঞ্চল্য ধুপগুড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনিতে। ঘটনা স্থলে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত মহিলার নাম পুষ্প রানি গায়েন (৭৫)। এদিন সকালে বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে বস্তা বন্দী অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। গত কাল দুপুরের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলো বৃদ্ধা। পেশায় অবসর প্রাপ্ত বিদ্যুৎ কর্মী। ঘটনাস্থলে পুলিশ। খুনের কারণ কি এখনো জানা যায় নি। মহিলার গলায় থাকা সোনার গহনা পর্যন্ত নেই। এলাকাবাসী গৌতম দে সরকার ও গণেশ দাশ বলেন, সকালে পাড়ার এক মহিলা জানান রাস্তার ধারে চটের বস্তা থেকে মানুষের দুটি পা বের হয়ে আছে দেখা যাচ্ছে বলে চীৎকার করেন। এই শুনে সবাই বাইরে বেরিয়ে আসেন। অনেকে তখনও ঘুম থেকে  ওঠেন নি। তারপর আমরা সবাই ছুটে এসে দেখি বস্তার ভিতর থেকে দুটি পা বের হয়ে আছে। পুলিশ এসে বস্তা খুলতেই আমরা দেখে চিনতে পারি। ওনার স্বামী বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী ছিলেন কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে পুস্প রানী গায়েন সেই চাকরি পান। এক ছেলে ছিল তার বিয়েও দিয়েছেন। কয়েক বছর আগে ছেলে অসুখে মারা যায়। উনি অবসর নিয়েছেন। 

এক মেয়ের বিয়ে দেন। সেই মেয়েও এখানে থাকেন। বাড়িতে পুত্র বধূসহ নিজের মেয়ে এক নাতনি নিয়ে থাকতেন। দুদিন ধরে বাড়িতে মেয়ের সাথে ঝগড়া হয়েছে বলে আমরা শুনতে পাই। বৃদ্ধা এর পরেও নিজেই বাজার করেছেন। স্বাভাবিক  অবস্থায় দেখেছি। পরে জানতে পারি শুক্রবার দুপুর বারোটার পর থেকে ওনাকে নাকি দেখা যাচ্ছিল না। পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। সেই সাথে কন্যা বুলি এবং পুত্রবধূ রীতাকে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ সংগ্রহ করে এক যুবককে আটকও করা হয়। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ আরও এক যুবককে শণাক্ত করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে একই সময়ে আরো একটি গলা কাটা মৃত দেহ উদ্ধার হয়। ধূপগুড়ি শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মল্লিক শোভা এলাকার জলাশয় থেকে এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন সকালে গলার নলিকাটা অবস্থায় এক ব্যাক্তির মৃত দেহ বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে এক জলাশয়ের মধ্যে পরে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত ব্যক্তির নাম শান্তি রায় বয়স আনুমানিক ( ৬২)। ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকশোভা এলাকার ঘটনা। 
মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী অঞ্জু রায় বলেন, শুক্রবার রাত থেকেই শান্তি রায় কে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পায় এলাকার একটি জলাশয়ের মধ্যে একটি মৃতদেহ ভেসে রয়েছে। খবর চাউর হতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় সেখানে। খবর দেয়া হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ কর্মীরা। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। আত্মহত্যা নাকি খুন ধন্ধে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

Comments :0

Login to leave a comment