প্রশান্ত সিকদার
রবিবার ভোর থেকে বামনডাঙা, টন্ডু ও মডেল ভিলেজের মানুষের কাছে বহির্জগত কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল। এই তিনটি চা-বাগানের প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ ঘরে আটকে আছেন।
অল্প কিছু ত্রাণ সরকার থেকে দেওয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই সামান্য। দৈনন্দিন জীবনের ন্যূনতম চাহিদা তাতে মিটবে না। কী হবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার? বাইরে যারা কাজ করে খায় তাদেরই বা কী হবে।
ডায়না, জলঢাকা ও গরুমারা অভয়ারণ্য দিয়ে ঘেরা এই জনপদের মানুষ সরকারি উদাসীনতায় ক্ষিপ্ত। আর তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেন, কিছু তো করতে হবে! তাই স্থানীয়রা একজোট যাতায়াতের কিছু একটা উপায় বের করলেন। নিজেরাই চাঁদা তুললেন। ঠিক করলেন টন্ডু বাগানের যে প্রান্তে ব্রিজ ভেঙে গেছে, সেখান থেকে চওড়া বাঁশের সিড়ি তৈরি করতে হবে। যে প্রান্তে ব্রিজের পিলার আছে সেই উচ্চতায় তৈরি হবে সিঁড়ি।
যেমন ভাবা তেমনি কাজ। চলে এলেন গ্রামবাসীরা। এগিয়ে এলেন গ্রামের মহিলারা। সকাল থেকে কাজ আরম্ভ হল। দুপুরের মধ্যে শেষ। খুশি এখন সবাই। ফের যোগাযোগের উপায় নিজেরাই বের করার আনন্দ রয়েছে বিপর্যয়ের মধ্যেও।
টন্ডু গ্রামের বাসিন্দা সিকান্দার মাঝি বলেন শান্তি এল আমাদের জীবনে। সরকারের ভরসায় না থেকেই করতে হলো।
Comments :0