অভিযোগ উঠেছিল পৌরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার চন্দ দাসের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়ে নিয়ে ঠিকাদারদের বরাত পাইয়ে দিতেন। টাকার বিনিময়ে বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এলাকায় তাঁর দাপটও বাড়ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে এগরায় পৌরসভার ইঞ্জিনিয়র চন্দন দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালান রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৭ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ভরি-ভরি সোনাও উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত প্রর্যন্ত পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কসবা-এগরা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার চন্দন দাসের বাড়িতে তল্লাশি চলে। আনা হয় টাকা গোনার মেশিনও। এগরার বাড়ি ছাড়াও তল্লাশি চলছিল কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে। তবে প্রশাসনের তরফে টাকা ও গহনা উদ্ধারের বিষয়ের সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দুর্নীতি দমন শাখা কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে সঠিক কোনো তথ্য সামনে আসেনি।
স্থানীয়দের বক্তব্য ১৯৯৩ সালে এগরা পৌরসভায় অস্থায়ী সহকারী ইঞ্জিনিয়ারি হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ঠিক তার পরের বছর স্থায়ী হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পৌরসভায় যুক্ত ছিলেন। সেইসময় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ২০২১ তাঁকে ধূপগুড়ি পৌরসভায় বদলি করা হয়। অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ারের আয় বহির্ভূত আর্থিক ও সম্পত্তি রয়েছে। প্ল্যান পাস করিয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নিতেন সেই অভিযোগও উঠেছিল। পৌরসভা সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবসর নেবেন তিনি। আপাতত তিনি ছুটিতে আছেন। সূত্রের খবর, এগরা পৌর এলাকায় জল প্রকল্পের কাজ নিয়েই এই ইঞ্জিনিয়ার তদন্তকারীদের নজরে এসে পড়ে। এগরায় প্রায় কুড়ি কোটি টাকার জল প্রকল্পে দূর্নীতির আঁচ পাচ্ছে এলাকার মানুষ।
পুলিশ মোতায়েন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলে। কলকাতাতেও আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চন্দনের। সেখানেও চলে তল্লাশি। দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারীরা এগরার একটি ব্যাঙ্কেও তল্লাশি চালায়। আর কোথাও সম্পত্তি রয়েছে কিনা, তার খোঁজ করছেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকার। চন্দন পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Egra Municipality
এগরায় সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৭ কোটি
×
Comments :0