Anubrata Mondal

ইডি’র মামলাতেও জামিন পেলেন অনুব্রত

জাতীয় রাজ্য

গত ৩০ জুলাই সিবিআই মামলায় জামিন পেলেও ইডির মামলায় তিহারেই থাকতে হয়েছে অনুব্রত মন্ডলকে। প্রায় দু’বছরের মাথায় গোরু পাচারকাণ্ডে চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত অনুব্রত মণ্ডল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন শুক্রবার। কয়েকদিন আগে মেয়ে সুকন্যার তিহার জেল থেকে মুক্তি পান। 
২০২২ সালের ১১ আগস্ট গোরু পাচার কাণ্ডে বোলপুরের নীচুপট্টিতে তাঁর বাড়ি থেকেই অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।  দীর্ঘদিন ছিলেন আসানসোলের জেলে। পরে ইডি’র মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় তাঁর। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও ছিলেন তিহার জেলে। কয়েকদিন আগে জেলমুক্তি হয়েছে সুকন্যার। এবার ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন ছাড়া পাচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল।
অনুব্রত মণ্ডল বিপুল টাকা খরচ করে গত দু’বছরে মুকুল রোহতগি, কপিল সিবাল, অভিষেক মনু সিংভির মতো আইনজীবীদের দাঁড় করিয়েছিলেন মামলা লড়ার জন্য। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট, দিল্লি হাইকোর্ট, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট, কলকাতা হাইকোর্ট, আসানসোল আদালতে একাধিক জায়গায় একাধিকবার জামিনের আবেদন করছিলেন অনুব্রত। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট, একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তারপরেও বিপুল টাকা খরচ করেই চলছিল মামলা। স্বাভাবিকভাবেই এই খরচের উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
গোরু পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যে সিবিআই ও ইডি মিলিয়ে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। এর আগে সিবিআই ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে ও ঘনিষ্ঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই ১৭ কোটি হদিশ পেয়েছিল সিবিআই। ইডি’র চার্জশিটে বলা হয়, গোরু পাচারের কারবারে অনুব্রত মণ্ডলের থেকে ৪৮ কোটির বেশি টাকা মেলে। এর মধ্যে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা তুলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০ কোটি ৭৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মেয়ের দু’টি সংস্থা কেনা, সংস্থায় বিনিয়োগ, সম্পত্তি কেনার পিছনে ঢেলেছিলেন। মেয়ের দু’টি সংস্থা ও চালকলে গোরু পাচারে টাকা বিনিয়োগ করার পর সেখান থেকে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের এই ৪৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকার  হদিশ পেয়েছে ইডি। ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছে। 
এদিন আদালতে অনুব্রত মন্ডলকে শর্ত দিয়েছে কোথাও তিনি থাকবেন, সেই বিষয়ে জানাতে হবে তদন্তকারী আধিকারিকদের। আদালতে জানাতে হবে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলের নম্বর। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট। তদন্ত প্রভাবিত হয় এমন কোনও কাজ করা যাবে না। প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রভাবিত করা যাবে না এমন কয়েকটি শর্ত সহ ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে শর্ত দেওয়া হয় অনুব্রত মন্ডলকে।

Comments :0

Login to leave a comment