সরাসরি ব্রিজভূষণের নাম ঘোষণা করা যেত না। অলিম্পিক মেডেলজয়ী কুস্তিগিররা যৌন হেনস্তার অভিযোগে এখনও সরব এই সাংসদের বিরুদ্ধে। তার বদলে ছেলে করণভূষণ সিং-কে উত্তর প্রদেশের কাইসেরগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করল বিজেপি। 
নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত কর্ণাটকের সাংসদ প্রোজ্জ্বল রেবন্নাকে বিদেশে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাথায়। তাঁকে চিঠিও পাঠিয়েছেন রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবারই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে ‘আদালতের নির্দেশ ছাড়া প্রোজ্জ্বল রেবন্নার ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাতিল করা যাবে না।’ 
এর মধ্যেই বিকেলে কাইসেরগঞ্জে বিজেপি’র প্রার্থী ঘোষণায় তুমুল প্রতিক্রিয়া পড়েছে। ব্রিজভূষণের এক ছেলে স্থানীয় বিধায়ক। বিজেপি’র সাংসদ প্রার্থী করণভূষণকে আগেই উত্তর প্রদেশের কুস্তি অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি করে দিয়েছেন ব্রিজভূষণ।  
নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও‘ স্লোগানে প্রশ্ন তুলেছে যে যে ঘটনা তার অন্যতম ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ। সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগট, বজরঙ পুনিয়ার মতো আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে পদকজয়ী কুস্তিগিররা দিনের পরদিন বসে থেকেছেন দিল্লির রাস্তায়। শিশুদের যৌন নির্যাতন রোধ আইন ‘পকসো’-র ধারাতেও অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ। 
বিজেপি’র প্রভাবশালী এই সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদী সরকার নেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামতে বাধ্য হয় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু হেপাজতে নেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক কুস্তি ফেডারেশনের চাপে সভাপতির পদ থেকে সরতে হলেও সর্বত্র প্রভাব ধরে রেখেছেন ব্রিজভূষণ। 
এমনি করণভূষণ উত্তর প্রদেশ কুস্তি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বজরঙ পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এবার তাঁকেই প্রার্থী করল বিজেপি। অথচ বিজেপি’র প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্দেশখালির নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ দেখিয়ে চলেছেন।
কাইসারগঞ্জে ভোট ২০ মে। সম্ভবত ৩ মে মনোনয়ন জমা দেবেন করণভূষণ। বিভিন্ন অংশ মনে করিয়েছে যে বিজেপি ‘পরিবারবাদ’ চালানোর অভিযোগ তোলে বিরোধীদের লক্ষ্য করে। কিন্তু দলের মধ্যে সর্বত্র পরিবারবাদের দাপট। ব্রিজভূষণের ছেলের নাম ঘোষণা সেই সত্যিও সামনে এনেছে ফের।