আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা তিনশোর বেশি আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২৩২ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। আমেদাবাদ বিমাবন্দর থেকে কিছুটা যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে পড়ার ফলে বিমানে থাকা যাত্রী, বিমানকর্মী সহ হস্টেলে থাকা একাধিক পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ছিলেন ওই বিমানটিতে। যদিও এদিন সন্ধ্যা প্রর্যন্ত প্রশাসনের তরফে হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সংস্থার খবরে জানা গেছে বিমানে থাকা ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক সংবাদ সংস্থাকে জাানিয়েছেন ওই বিমানে থাকা এক যাত্রী প্রাণে বেঁছে গেছেন। তাঁর নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ(৪০)। তনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর দাদা অজয় কুমার রমেশও ওই বিমানে ছিলেন তবে তিনি মারা গিয়েছেন। তবে ৩৪২ যাত্রী ছাড়াও দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। আমেদাবাদের হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের মতে দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়নি।
এদিন সন্ধ্যায় মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণে কথা ঘোষণা করে টাটা গ্রুপ। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ সেই সঙ্গে গড়ে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত বিজে মেডিক্যাল কলেজও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণা করা হয় টাটা গ্রুপের তরফে। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বলেছেন, ‘‘আমরা আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করব এবং ক্ষতিগ্রস্থ বিজে মেডিকেলের হোস্টেল নির্মাণে সহায়তা করব।’’
আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্টপতি, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, রাহুল গাঁধী , অখিলেশ যাদবও। কংগ্রেস কর্মীদের উদ্ধারকার্যে নামার আহ্বান জানিয়েছে রাহুল গাঁধী। বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারকে সমবেনা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি করেছেন।