বিজেপি’র বিভাজনের রাজনীতির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর-কে ব্যবহার করে নাগরিকত্বের বিচার করানো যাবে না। ১২ রাজ্যে এসআইআর চালুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বুধবার একথা বলেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো।
পলিট ব্যুরো বলেছে, বিহারের এসআইআর পদ্ধতি দেখিয়েছে যে বিপুল অংশকে ভোটাধিকারের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার বেশিরভাগই সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ। নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্ব নির্ধারণ করতে পারে কিনা, সে প্রশ্ন এখনও সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে। তার মধ্যে ১১২ রাজ্যে এসআইআর চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিনই তিরুবনন্তপুরমে কেরালার বাম গণতান্ত্রিক জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন যে এসআইআর’র বিরোধিতা করা হচ্ছে। রাজ্য মন্ত্রীসভা সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেরালায় সামনেই স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন রয়েছে। রাজ্য সরকার এই প্রক্রিয়া চালু না করার জন্য চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। কেরালাকে এই পর্যায়ে এসআইআর’র আওতায় রাখা হয়েছে। অথচ বাদ দেওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত আসামকে।
বিজয়ন বলেছেন, যেভাবে তাড়াহুড়ো করে এসআইআর প্রয়োগ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। কেরালা বিধানসভা এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে সর্বসম্মতিতে প্রস্তাব পাশ করেছে। তা সত্ত্বেও এসআইআর চালু করা হলো।
SIR Polit Bureau
১২ রাজ্যে এসআইআর বিরোধিতার ডাক পলিট ব্যুরোর
×
Comments :0