জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর। বিশালাকার প্রতিমা, আকর্ষণীয় আলোর কেরামতি দর্শনে শুধু এই রাজ্য থেকেই নয় ভিন রাজ্য থেকেও বহু মানুষ ভিড় জমায়। তবে চন্দননগরে গঙ্গা পেরিয়ে জগদ্ধাত্রী দর্শনে এলে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ বলছেন উন্নয়ন রাস্তা দিয়ে হাঁটত, এখন উন্নয়ন জল দিয়ে দৌড়াচ্ছে। ফেরি পারাপারের ভাড়া হয়েছিল ৯ থেকে বেড়ে ১৫ টাকা। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাঙ্গ, কটুক্তি শুরু হতেই তা কমিয়ে করা হল ১৩ টাকা। চন্দননগরে রানী ঘাটে আসতে গেলে গ্যাঁটের কড়ি খসবে। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই কর্পোরেশনের সাফাই,পুজো কদিন আলো নিরাপত্তার জন্য কর্মী নিয়োগ করতে হয় তাই ভাড়া বারানো হয়।
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় ট্রেনে গাড়িতে বহু মানুষ আসেন। লঞ্চে করে গঙ্গা পেরিয়েও আসেন অনেক দর্শনার্থী। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থেকে চন্দননগর রানীঘাটে প্রায় সারা রাত ঠাকুর দেখতে আসেন। বছরের অন্যান্য সময় ৯ টাকা লঞ্চের ভাড়া থাকলেও জগদ্ধাত্রী পুজোর ৬ থেকে ১২ তারিখ এক ধাক্কায় সেই ভাড়া ১৫ টাকা করা হয়। লঞ্চের সেই টিকিট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নানা সমালোচনা শুরু হয়। নেটিজেনরা মন্তব্য করেন, পরিষেবা তো পরিষেবাই হয় ঘাট পারাপারে বিশেষত্ত কি আছে। কেউ লেখেন হঠাৎ কি লঞ্চ এসি হয়ে গেলো নাকি। আগে উন্নয়ন রাস্তা দিয়ে হাঁটত এখন উন্নয়ন জল দিয়ে দৌড়াচ্ছে। আর এই সব দেখেই চন্দননগর কর্পোরেশন ভাড়া কমিয়ে ১৩ টাকা করে দেয়।
পৌর নিগম সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারই জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় আলাদা করে লোক নিয়োগ করতে হয়। সেই কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করি। এবারে একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে সেটা নিয়ে নানা মন্তব্য শুরু হয়। আমরা তাই ১৫ টাকা যেটা করা হয়েছিল সেটাকে ১৩ টাকা করেছি। এত লোককে সামলাতে অনেক মানুষের প্রয়োজন হয় তার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় হয়। তাই ভাড়া বাড়ানো হয়।
Jagadhatri Puja 2024
চন্দননগরর জগদ্ধাত্রী দর্শনে অতিরিক্ত ফেরি ভাড়া
×
Comments :0