গত ১৯ মে বাইকে করে দুই আইটি প্রফেশনালকে পোর্শে গাড়ি চাপা দেওয়ার অভিযোগে ১৭ বছরের কিশোরের দাদু সুরেন্দ্র আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করল পুনে পুলিশ। গাড়ি দুর্ঘটনায় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা কিশোরের বাবা বিশাল আগরওয়ালের নামও এই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
একদিন আগেই পুনের পুলিশ প্রধান অমিতেশ কুমার জানিয়েছিলেন, দামি গাড়িটি যে নাবালক চালাচ্ছিল না, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। নাবালকের পারিবারিক চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়েরওয়াড়া পুলিশ কিশোরের দাদু ও বাবার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৫ (গোপনে ও অন্যায়ভাবে কাউকে আটকে রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ) এবং ৩৬৮ (অন্যায়ভাবে লুকিয়ে রাখা বা আটকে রাখা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ, গাড়ি দুর্ঘটনার পর ওই কিশোরের দাদা ও বাবা ওই চালকের ফোন নিজেদের কাছে রেখে ১৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত বাংলোর চত্বরে নিজের বাড়িতে আটকে রাখেন। ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চালককে তাঁর স্ত্রী ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছিলেন যে আগরওয়াল এবং তার বাবা চালককে হুমকি দিয়েছিলেন এবং রবিবার ভোরে পোর্শে গাড়িটি একটি মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা মারার সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে দাবি করে তার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিতে বলেন। শুক্রবার পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, পোর্শে গাড়িটি যে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোর চালাচ্ছিল না, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
বিলম্বিত রিপোর্টিং এবং কর্তব্যে অবহেলার জন্য শুক্রবার ইয়েরওয়াড়া থানার এক ইন্সপেক্টর সহ দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে পুনে পুলিশ। রবিবার (১৯ মে) ভোরে শহরের কল্যাণী নগর এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় পোর্শে গাড়িটি চালিয়ে দুই মোটরবাইক আরোহী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে হত্যা করে।
শুক্রবার পুনের স্থানীয় আদালত কিশোরের বাবা-সহ ধৃত ছয় অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। ৫ জুন পর্যন্ত অবজারভেশন হোমে রয়েছে ওই কিশোরী। দুর্ঘটনায় নিহত দুই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর বাবা-মা দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট যেন তদন্তের উপর নজর রাখে এবং তাদের রাজ্যে বিচার হোক।
Pune Porsche Case
পুনের ‘পোর্শে কান্ডে’ গ্রেপ্তার নাবালকের দাদু
×
Comments :0