RG KAR PROTEST

ফের তলব প্রতিবাদী চিকিৎসকদের, বিক্ষোভ কাল

রাজ্য কলকাতা

গত ৩ সেপ্টেম্বর বৌবাজার থানার সামনে প্রতিবাদী জমায়েত।

ফের তলব করে হলো ‘অভয়া’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের চিকিৎসকদের। আগামী ৮, ৯ এবং ১১ সেপ্টেম্বর হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। বারবার প্রতিবাদী সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের এই ভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে গর্জে উঠছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স এবং অভয়া মঞ্চ। সোমবার বিকেলে প্রতিবাদী জমায়েতেরও ডাক দিয়েছে তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া, দেবাশিস হালদার ও অর্ণব মুখার্জিকে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে জমায়েত সহ একধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। 
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই প্রতিবাদী চিকিৎসক ডাঃ মানস গুমটা, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী, ডাঃ দেবাশিস হালদারের মতো কয়েকজনকে ডাকা হয়েছিল।
আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় নিহত চিকিৎসক-ছাত্রীর জন্য ন্যায় বিচারের দাবিতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে কলকাতার ধর্মতলায় দীর্ঘদিন অনশন আন্দোলন করেন জুনিয়র ডাক্তারা। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্যই তাঁদের সমন পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 
ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়া বলেন, "১৪ অক্টোবর ২০২৪ সালে দ্রোহের কার্নিভালের দিন জমায়েত করার জন্য ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সমন পাঠানো হয়েছে আমাকে। আমি সঠিক সময়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছে যাবো। এটা পুলিশের ডাক নয়, শাসকের চক্রান্ত। আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মাথা নত করা বা ভয় পাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমরা কোনও ধরণের অন্যায় করিনি। যারা দুর্নীতি ধর্ষণ করছে তাঁদের না ডেকে প্রতিবাদীদের হেনস্তা করছে। 
তিনি আরও বলেন, "আমাদেরও পুলিশের কাছে প্রশ্ন থাকবে তাঁরা কবে তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করবেন।"
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি বলেন, "অভয়া আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের বেছে বেছে সমন পাঠানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশকে দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে প্রতিবাদীদের। সাধারণ মানুষকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে আন্দোলন করলে এই ভাবে হেনস্তার সম্মুখীন হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে কোনও প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তা লঙ্ঘন করে সমন পাঠানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। "
ডাঃ ব্যানার্জি আরও বলেন, "আমরা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি এই হেনস্তার কথা। কমিশনার দেখা করেননি। আমরা আমাদের কথা জানিয়ে দিয়ে এসেছি। পুলিশ আদিকারিকরা বলেছিলেন যে কমিশনারকে আমাদের বক্তব্য পৌঁছে দেবেন। যাঁদের সমন পাঠানো হচ্ছে তারা প্রত্যেকে কলকাতার বাইরে চিকিৎসার জন্য থাকেন। তাঁদের হাজিরা দিতে ডাকার ফলে বহু মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।"

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন