ANNA SEBASTIAN

কাজের চাপে মৃত্যু, অ্যানার পরিজনদের সঙ্গে কথা রাহুলের

জাতীয়

কাজের জায়গায় মারাত্মক চাপে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন বাবা-মা। মৃত অ্যানা সেবাস্তিয়ান পেরায়িলের পরিবারের সঙ্গে শনিবার কথা বললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। 
আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের কর্মী ছিলেন সিএ আন্না। ‘ইওয়াই’-এ মার্চে যোগ দিয়েছিলেন সংস্থার পুনের দপ্তরে। মারা যান জুলাইয়ে। মৃত্যুর পরপর, ২০ জুলাই মা অনিতা অগাস্টিন চিঠি লিখেছিলেন সংস্থার চেয়ারপার্সন রাজীব মেমানিকে। কাজের জায়গায় মারাত্মক চাপের বর্ণনা দেওয়া সেই চিঠি সম্প্রতি বেরিয়ে গিয়েছে। তা থেকেই সারা দেশে তীব্র শোরগোল চলছে। কেননা সর্বত্র।, বিশেষত নতুন যোগ দেওয়া কর্মীদের, এমন চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। 
পশ্চিমবঙ্গে ঘটনার কারণ একেবারেই অন্য হলেও আর জি কর হসাপাতালের ঘটনার পর সামনে এসেছে পিজি শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের টানা ৩৬ ঘন্টার বেশি ডিউটি করতেও বাধ্য করা হয়। আবার পরপর রেল দুর্ঘটনার সময়ে বেরিয়ে পড়েছে চালকদের কাজের সময়ের কোনও মাপকাঠি মেনে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। 
মৃত আন্নার বাবা সিবি জোসেফ বলেছেন,‘‘নিয়মিত কথা হতো মেয়ের সঙ্গে। খাওয়ার সময়ের কোনও ঠিকই ছিল না। পুনের দপ্তর থেকে পেয়িল গেস্ট হয়ে যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, ফিরত গভীর রাতে। তারপর ঘুমও হতো না ঠিকমতো। খাওয়া হয়নি, ঘুমও ঠিকমতো হয়নি। তার জেরেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে’’।
তবে পরিবার সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি। 
আন্না সেবাস্তিয়ানের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর দেশে শ্রমিক এবং কর্মীদের এমন সঙ্কট নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন অংশ। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রককে তদন্তে নামতে হয়েছে। 
২০ জুলাই মা অনিতা চিঠিতে সংস্থার প্রধানকে লিখেছিলেন, যে আধিকারিকরা মেয়ের ওপর কাজের বোঝা চাপিয়ে দিত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। 
পরিবারের বক্তব্য, পুনের দপ্তর থেকেই সেই চিঠি ফাঁস হয়েছে কারণ অ্যানার মতো আরও অনেকেই একই বোঝা নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। তারাই কেউ ফাঁস করে দিয়েছে সোশাল মিডিয়া।   

Comments :0

Login to leave a comment