প্রসান্ত সিকদার
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে পর্যটকদের ব্যাপক ভীড় ডুয়ার্সে। আলোকে ডুয়ার্স আজ উৎসবমুখর। পাহাড় সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন পিকনিক স্পট সেজে উঠছে। ২৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি পিকনিক হচ্ছে। নববর্ষের প্রথম দিন বুধবার সকাল থেকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য মুক্ত বাতাসে আজকের দিনটাকে উপভোগের তাগিদে কেউ ছুটছেন পাহাড়ে, কেউ গরুমারা জঙ্গলে, আবার কেউবা গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের দিকে ছুটছেন পরিবার নিয়ে। কেউ আবার নতুন জায়গা বাগ্রাকোট লুপে। ভীড় যেন উপচে পড়েছে গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে। পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা। শীতের ছুটিতে কাছাকাছির মধ্যে ঘুরে আসার জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছেন গজলডোবাকে। এদিনও দেখা গেল নতুন বছরটাকে নতুন করে উপভোগ করতে পর্যটকরা ছুটছেন গজলডোবা। সকাল থেকেই গাড়ির পর গাড়ি। ছোট গাড়ির সংখ্যাটাই ছিল বেশী। ব্যারেজের ব্রীজের ফুটপাঠ আটকে পড়ে গাড়ি। এ যেন ট্রাফিক জ্যাম। পুলিশকে হিমসিম খেতে হয় জ্যাম মুক্ত করতে। ব্রীজ পার করে শিলিগুড়ির দিকে যেতে বাদিকে ব্যারেজ বাজার সেখানেও জমজমাট ভিড়। চিংরি মাছ আর বোরলী মাছ কেনার টানে আনাগোনা যেন লেগে রয়েছে পর্যটকদের।
বিস্তীর্ন বাজার এলাকায় ও ব্রীজের ফুটপাথে অসংখ্য মানুষ তিস্তা নদীর স্যৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক চিত্র উপভোগ করলেন। পর্যটকরা আলাদা আনন্দ উপভোগ করলেন নৌকা ভ্রমন ও শীতকালীন পাখির আনাগোনা চাক্ষুষ দেখে। কেউ এসেছেন জলপাইগুড়ি থেকে কেউ আবার শিলিগুড়ি থেকে। ক্রান্তি, মালবাজার ও ওদলাবাড়ি থেকেও এসেছেন বহু মানুষ। পর্যটকদের ঘুড়ে বেরানর নতুন দিক বাগ্রাকোট লুপ। নাথুলা প্রর্যন্ত যাওয়ার এই রাস্তা। পাহাড় কেটে তৈরি রাস্তা প্রকৃতির শুন্যতায় অপুর্ব। আঁকাবাঁকা পথ যেন যন্তর মন্তর। গত ২৫ ডিসেম্বরের পর ইংরেজি নববর্ষেও ব্যাপক ভিড়। মালবাজার থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে এই মনোরোম জায়গায় পিকনিক করতে কেউ রাস্তার পাশে রান্না করছেন, কেউ রান্না করা খাবার নিয়ে এসে পিকনিক করছেন। আবার কেঊ ব্যস্ত সেলফি তুলতে। পুরা কাজ শেষ হলে এটা হবে পর্যটনের কেন্দ্র বিন্দু। ছাপিয়ে যেতে পারে গাজলডোবাকে। পর্যটকদের এই ভিড়ে খুশির হাওয়া ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
Comments :0