শনিবার দিনভর বিক্ষোভ ও মিছিলে সামিল হয় বিড়ি শ্রমিকরা। ধর্মঘট চলাকালীন কেন শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ? জানা গেল মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিড়ি শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে আসছেন গত ১২ ডিসেম্বর থেকে। শ্রমিকদের জেদি মনোভাবের কাছে কার্যতঃ দিশেহারা মালিকপক্ষ। এহেন পরিস্থিতিতে পরবর্তী ৩১ডিসেম্বর এএলসি বসিরহাট অফিসে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে সিদ্ধান্ত হয়। মালিকদের অনড় মনোভাবের কারণে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে যায়। বসিরহাট মহকুমা বিড়ি শ্রমিক যৌথ সংগ্রাম কমিটি সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসে এবং ন্যুনতম ২৫০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি না হলে ধর্মঘট চলবে জানিয়ে দেয়। বাইরে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা শ্রমিক নেতাদের সমর্থন জানায় এবং ধর্মঘট চলবে বলে প্রত্যয়ী ঘোষণা করে। এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতি যোগসাজশে বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সেই মতো কিছু শ্রমিককে ভুল বুঝিয়ে ২৩০টাকা মজুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিড়ির পাতা, তামাক সরবরাহ করতে থাকে। এই খবর ধর্মঘট চালিয়ে আসছেন এমন বহু শ্রমিক জানতে পারেন এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শনিবার মালিক সমিতির সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় এবং মিছিল সংগঠিত করে। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ গত ২৬ ডিসেম্বর বসিরহাট ব্লক – ১ বিডিও অফিসে তৃণমূলের শ্রমিক নেতারা ও মালিকরা এই ষড়যন্ত্রের জাল বোনে। মালিকদের প্ররোচনায় পা দিয়ে যে সমস্ত শ্রমিকরা বিড়ি বাঁধার কাজ করছিল তাদের বাড়ি বাড়ি এদিন ধর্মঘটী শ্রমিকরা অভিযান চালায় এবং হাতে নাতে ধরে ফেলে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বসিরহাট ব্লক -১এর শঙ্করপুর, নিমদাড়িয়া, হাসনাবাদ ব্লকের মাখালগাছা,সিরাজপুর,তালপুকুরে। আলোচনা চলাকালীন মালিকপক্ষ এবং তৃণমূলের শ্রমিক নেতাদের এ হেন অমানবিক মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়ে মজুরি বৃদ্ধি সহ ৬ দফা দাবিতে এদিন সন্ধ্যায় শ্রমিকদের নিয়ে সভা হয় তালপুকুর বাজারে। সেখানে বক্তব্য রাখেন যৌথ সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। সভা থেকে ৩১ ডিসেম্বর এ এল সি অফিসে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিন শ্রমিকদের দলে দলে আসার আহ্বান জানানো হয়।
beedi workers
ধর্মঘট চলাকালীন বিড়ি শ্রমিকদের বিক্ষোভ
×
Comments :0