ম্যানুয়েল নয়্যারঃ ২০০৯ থেকে নিয়মিত ভাবে জাতীয় দলের জার্সি পরছেন। ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপে জার্মানি কাপ জেতে। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ন্যয়ারের। তাঁর সুইপিং কিপার স্টাইল গোলকিপিংয়ের নতুন ঘরানা তৈরি করে। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১১৪টি ম্যাচ। এবারের জার্মানি দলের অধিনায়কও তিনি।
বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন ন্যয়ার। ২০১১ থেকে টানা ১১ বছর বায়ার্নের হয়ে খেলছেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে বায়ার্নের অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ মরশুম থেকে টানা জার্মানির ঘরোয়া লিগ 'বুন্দেশলিগা' জিতেছে বায়ার্ন। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে ২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছে বায়ার্ন। খেলোয়াড় হিসেবে ২০১২-১৩ চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন ন্যয়ার। বুন্দেশলিগায় ৪৪১টি ম্যাচ খেলে মাত্র ২০৫টি গোল হজম করেছেন ন্যয়ার।
তিন কাঠির নীচে ন্যয়ার থাকা মানে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে জার্মানি।
অ্যান্টনিও রুডিগারঃ ফিলিপ লাম পরবর্তী জার্মান ডিপ ডিফেন্সের স্তম্ভ হতে পারেন রুডিগার। গোল বাঁচানোর পাশাপাশি গোল করতেও দক্ষ অ্যান্টনিও। ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে ৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ২টি।
২০১৭-২২ মরশুমে চেলসির হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন রুডিগার। বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের সদস্য। চলতি বছরের অক্টোবরে রিয়েল মাদ্রিদ - শাখতার ডনেটস্ক ম্যাচের ৯৫ মিনিটে গোল করেন রুডিগার। খেলায় সমতা ফেরায় মাদ্রিদ। সেই গোলের সৌজন্যেই নকআউটে পৌঁছয় রিয়েল মাদ্রিদ।
বিশ্বকাপেও তিনি একই ভূমিকা পালন করবেন, এমনটাই আশা জার্মান সমর্থকদের।
লিরয় সানেঃ জার্মান আক্রমণ ভাগে ভরসা যোগাতে পারেন সানে। ২০১৫ মরশুম থেকে জাতীয় দলের সদস্য, খেলে ফেলেছেন ৪৮টি ম্যাচ।
২০২০ মরশুম থেকে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন সানে। চলতি মরশুমে ১৩ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন তিনি। তাঁর ফর্মে থাকা বাড়তি সুবিধা দেবে জার্মান আপফ্রন্টকে।
সার্জ ডেভিড জ্ঞ্যাব্রীঃ জার্মান আক্রমণ ভাগে নির্ভরতা যোগানোর ক্ষমতা আছে জ্ঞ্যাব্রীর। ২০১৬ থেকে জাতীয় দলের সদস্য। ৩৬ ম্যাচে ২০টি গোল রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
বায়ার্নের হয়ে ২০১৮-১৯ মরশুম থেকে ক্লাব ফুটবল খেলছেন জ্ঞ্যাব্রী। চলতি মরশুমে সাদিও মানের সঙ্গে তাঁর জুটি নজর কেড়েছে। বুন্দেশলিগায় বায়ার্নের হয়ে এই মরশুমে ১৫ ম্যাচে ৮ গোল করে ফেলেছেন জ্ঞ্যাব্রী। সানে এবং মুলারের সঙ্গে জ্ঞ্যাব্রীর জুটি দৃঢ় হলে সমস্যায় পড়তে চলেছে বাকি দলগুলি।
থমাস মুলারঃ ২০১০ থেকে জার্মানির জাতীয় দলের সদস্য। ১১৮টি ম্যাচে ৪৪টি গোল করেছেন জার্মানির হয়ে। ২০১০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে ৫টি করে গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে ঢুকে পড়েছিলেন মুলার। মনে করা হচ্ছিল, মিরোস্লাভ ক্লোজের যোগ্য উত্তরসূরীর সন্ধান পেয়ে গিয়েছে জার্মানি। কিন্তু ২০১৮ বিশ্বকাপে চোট এবং অফ ফর্ম তাঁকে ভোগায়। মুলারের অফফর্মে সমস্যায় পড়ে জার্মানিও।
এবার ফর্মে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মুলার। বিশ্বকাপে আরও একবার জ্বলে ওঠার জন্য তিনি বেছে নেবেন জাপান ম্যাচ, এমনটাই জার্মানির টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর। তাই তাঁর দিকে নজর রাখতেই হবে।
Comments :0