Junior Doctor protest

সিজিও কমপ্লেক্সের পথে জুনিয়ার ডাক্তারদের মিছিল

রাজ্য

বিচারের দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্সের পথে জুনিয়ার ডাক্তাররা। পূর্বেই আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে স্বাস্থ্য ভবনের সামন থেকে তারা তাদের অবস্থান তুলে নেবেন। বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে তারা বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্য শিবিরে যোগ দেবেন। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার আগে তারা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে এই আ জি কর হাসপাতালের দুর্নীতি এবং চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে।
সরকার ন্যায্য দাবিগুলি মানলে কাজে ফিরতে চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বারে বারে চিঠি পাঠিয়ে আলোচনাও চেয়েছিলেন। কিন্তু নবান্ন’র আচরণে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত সংকল্প নিয়েছিলেন, সমস্ত দাবি না মিটলে একইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। বুধবারের বৈঠকের মিনিটস’এ কোন সদর্থক ভূমিকাও মুখ্যসচিবের তরফে দেখা যায়নি বলে বক্তব্য ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। নবান্ন’র তরফে একটি লিখিত প্রতিবেদন আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেও তা আসেনি। পরে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেরাই বকেয়া দাবি জানিয়ে ফের ই-মেল করেন মুখ্যসচিবকে। সন্ধ্যায় তার উত্তর দেয় রাজ্য সরকার। তারপর রাতে বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, শনিবার থেকে এমার্জেন্সি বিভাগে কাজে যোগ দেওয়া হবে। আপাতত স্বাস্থ্যভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে উঠবে ধরনা মঞ্চ। তবে লড়াই আন্দোলন চলবে একইভাবে। শুক্রবার বেলা ৩টেয় মিছিল হবে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত। এই মহামিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য সমস্ত সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, আমরা এবার বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ ও মেডিক্যাল এইড পৌঁছে দেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, লড়াই আন্দোলনের ৪১ দিন হয়েছে। আমাদের পাঁচ দফা দাবি ছিল। তার মধ্যে পুলিশ কমিশনার, ডিএমই, ডিএইচএস’র অপসারণ ও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই জোরদার করেছি আমরা। আমাদের আংশিক জয় হয়েছে ঠিকই, কিন্তু লড়াই আন্দোলন চলবে পূর্ণ জয়ের জন্য। আমাদের দাবি, অভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের তদন্ত অতি দ্রুততার সঙ্গে করা হোক। যাতে অভয়ার মতো আর কোন বর্বরতা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমাদের দাবি ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। কিন্তু এব্যাপারেও কিছুই হয়নি। কেন্দ্রীয় রেফারাল সিস্টেম, সেন্ট্রাল হেল্পলাইন নম্বর, রেস্টরুম, সিসিটিভি ব্যবস্থা ইত্যাদির যে দাবি আমাদের ছিলো, সে বিষয়েও কোনও সদর্থক ভূমিকা নেই সরকারের। ওই ঘটনা নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন রয়েছে, সেসবের কোন উত্তর আমরা পাইনি। তাই এটা মনে করার কারণ নেই যে আমাদের লড়াই থেমে গেলো। সরকার কোন কার্যকরী ভূমিকা না নিলে এই লড়াই আরও জোরদার হবে।

Comments :0

Login to leave a comment