Shootout

বারাকপুরে শ্যুট আউট, গুলিবিদ্ধ যুবক

রাজ্য জেলা

বারাকপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে শ্যুট আউট। বারাকপুর কমিশনারেটের থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে গুলিবিদ্ধ মহঃ ইন্দাজ(৩০) নামে এক যুবক। অনৈতিক টাকা পয়সার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বচসার জেরে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি।
বারাকপুর চিড়িয়ামোড় এলাকায় ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের একটি পরিত্যাক্ত অফিস আছে। এই খানে একসময় ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের গুদামঘর ছিল। এছাড়াও ইলেকট্রিক বিল এখানে জমা নেওয়া হতো। বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিশাল জমি পড়ে আছে। এই পরিত্যক্ত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজ কারবার চলছে। তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর এই বিষয়টা জানলেও এটা বন্ধ করার জন্য কোনো উদ্যোগ নেই। এই যুবকদের স্থাথে তৃণমূলের নেতাদের যোগাযোগ আছে বলে জানা গেছে। এই জায়গায় বসে এলাকার কিছু যুবক টাকা পয়সার ভাগবাটোয়ারা করে। এছাড়াও এই যুবকরা ওইখানে মদের আসর বসায়। এই যুবকরা আঁধার কার্ড দেখিয়ে মানুষকে লোন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা পয়সা নেয়। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে এই অনৈতিক কাজ এই যুবকরা ওইখানে করছে।
বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ একটি বাইকে করে তিনজন যুবক ওইখানে আসে।  কিছু যুবক আগে থেকেই ওখানে বসে ছিল। তাদের মধ্যে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বচসা চলছিল। বাইকে করে তিনজন যুবক ওইখানে আসার পর আচমকাই গুলি চলে। মহঃ ইন্দাজ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। তিন রাউন্ড গুলি চলে। তার পেটে একটি ও বুকের দুপাশে দুটি গুলি লাগে। এরপর বাইকে করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। যারা গুলি চালিয়েছে তারাও ওই এলাকায় থাকে বলে জানা গেছে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে প্রথমে বারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। 
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এইখানে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ সব জানলেও এই অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয় নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সাথে এই যুবকদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। সারাদিন ধরে এইখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইকে করে যুবকরা আসে। মোটা মোটা টাকার বান্ডিল এই খানে বসে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়। আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে এখানে কিছু ঘটনা ঘটবে। আজকে এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও উদাসীন।

Comments :0

Login to leave a comment