কখনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক, কখনও আইপিএস অফিসার আবার কখনও সাইবার ক্রাইমের পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে মালদার বাসিন্দা হৃদয় বিশ্বাস নামে এক যুবক এক সোস্যাল মিডিয়ায় রায়গঞ্জের টেনোহরির গ্রামের বাসিন্দা শম্পা দাস নামে এক মহিলার সঙ্গে আট মাস আগে পরিচয় হয়। ঠিক তার দু’মাস পরেই রেজিস্ট্রি করে বিয়েও করেন দু’জন। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই হৃদয় বিশ্বাসের আসল পরিচয় জেনে যায় স্ত্রী। প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে মালদার বাসিন্দা হৃদয় বিশ্বাসের সঙ্গে ৮ মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয় রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামের বাসিন্দা শম্পা দাসের। পরিচয়ের দু’মাস পরেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন দু’জন। কখনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক, কখনও বা সাইবার ক্রাইম পুলিশ আধিকারিক বলে পরিচয় দেন তিনি। নিজে একজন আধিকারিক প্রমাণ করার জন্য সোস্যাল মিডিয়ার নিলবাতি লাগানো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ছবিও তুলতেন। আর সেই ছবি সাজমাধ্যমে শেয়ার করতেন। বিয়ের পর স্বামীর কাজ নিয়ে স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুরু হয় অশান্তি। ক্রমাগত বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বুধবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলার পরিবারের লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার রাতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ব্যক্তিকে আটক করে। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো আধিকারিককে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেছেন মহিলার পরিবার।
Raiganj
বধু নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের জালে ভুয়ো আইপিএস

×
Comments :0