Brigade Murshidabad

সেই মুর্শিদাবাদের আশাকর্মীরা ব্রিগেডে বলছেন ‘চাই ভাতের লড়াই’

রাজ্য ব্রিগেড

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর আশাকর্মীরা। রবিবার বেলা বারোটায় ব্রিগেডে।

অরিজিৎ মণ্ডল ও প্রিতম ঘোষ

ধর্মীয় পরিচয় আলাদা। কিন্তু শ্রেণির পরিচয় নিয়ে জনতার জোট দেখছে ব্রিগেড। 
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থেকে এসেছেন আশাকর্মীরা। দীর্ঘ লড়াই আন্দোলন তাঁদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতির দাবিতে। লড়াই ন্যায্য ভাতার দাবিতে। ব্লক স্তর থেকে এই স্বাস্থ্যকর্মী মহিলাদের কলকাতার ব্রিগেডে টেনে এনেছে জীবন জীবিকার দাবি।
সমাবেশ শুরু বেলা তিনটেয়। কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর এবং বস্তিবাসী আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা কলকাতার ৭ জায়গা থেকে মিছিল শুরু করবেন বেলা একটায়। কিন্তু তার আগে, বেলা ১২টা থেকে ব্রিগেডের মাঠে প্রতিরোধের উত্তাপ। 
বর্ধমান থেকে এসে মহিলারা জানিয়েছেন, একেবারে সরাসরি, ‘জাত নয়, ভাতের লড়াই চাই।’ বলেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় যেভাবে স্কুল চলত, যেভাবে মাস্টারমশাই দিদিমণিদের কাজ হতো, সেখানে পৌঁছাতে হবে ফের। 
আর বলেছেন, আমাদের লড়াই স্মার্ট মিটারের বিপক্ষে। ওই মিটার বসলে সর্বনাশ। 
বাঁকুড়ার দূর গ্রাম থেকে এসে ব্রিগেডযাত্রীদের মুখে সেই স্কুল শিক্ষা, গ্রামের হাসপাতালের কথা। আর কথা মোদী-দিদির ধর্ম নিয়ে রাজনীতির বিপক্ষে। 
তাঁরা বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষা নেই। হয় না। যা হয়েছে তার অবস্থা সবাই দেখছি আমরা।
তাঁরা বলেছেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিল করতে হবে। বহু পুরনো এই ব্যবস্থা। দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিক দেশের সরকার। তার বদলে আইন করেছে বিভাজনে উস্কানি দেওয়ার জন্য। 
ব্রিগেডের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে রাত জেগে। কলকাতার স্টেশনে ভিড় সমানে বাড়ছে ব্রিগেডযাত্রীদের। ব্রিগেডের মাঠ থেকে স্টেশন, সর্বত্র রয়েছে স্বেচ্ছাসেবকরা। কলকাতার বামপন্থী কর্মীরাই দায়িত্ব নিয়েছেন দূর জেলা থেকে পৌঁছানো ব্রিগেডযাত্রীসের সহায়তার।
এ কলকাতা বাংলা নতুন বছরের গোড়ায় দেখেছে দাঙ্গার ছবি। দেখেছে ভাঙা বাড়ি, আগুন আর ধ্বংসের ছবি। আর এ বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই সারা দেশ, সারা রাজ্য দেখছে ঐক্যের ছবি। শ্রেণি ঐক্য চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বিভাজনের রাজনীতিকে।

Comments :0

Login to leave a comment