Bengal Government

চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করে কমিশনকে চিঠি নবান্নের

রাজ্য

ভোটার তালিকায় কারচুপিতে অভিযুক্ত চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করার চিঠি কমিশনকে পাঠালো রাজ্য সরকার। 
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেকে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবারই কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়েছে। নবান্নের রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ সূত্রের খবর, এদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনের কাছে চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাসপেন্ড করার পাশাপাশি চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এফআইআর করা নিয়ে কোনও উল্লেখ করা হয়নি চিঠিতে। 
রাজ্য প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রথম চিঠিতে রাজ্য সরকার আলাদাভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ফলে রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা নিয়ে সরকার এখনই এগতে চাইছে না। কিন্তু রাজ্যের কাছে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি এফআইআর করতে নির্দেশ দিয়েছিল। ফলে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাঠানো চিঠিতে কমিশনের নির্দেশের আংশিক কার্যকর করা হয়েছে। এখন মুখ্যসচিবের চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন পরবর্তী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা দেখার। 
কমিশন শাস্তির নির্দেশে স্পষ্টভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পূর্ব বারুইপুরের চার সরকারি আধিকারিককের বিরুদ্ধে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি এফআইআর করার উল্লেখ করেছিল। গত দুদিন ধরে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলে কমিশনের সিদ্ধান্ত কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে দফায়, দফায় বৈঠক করেন শীর্ষ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, একাধিকবার চিঠির বয়ান পরিবর্তন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘সরকারি কাজে সাসপেন্ড করা কোনও শাস্তির আওতায় পড়ে না। সাসপেন্ড করার পর বিভাগীয় তদন্ত করার পর চার্জশিট তৈরি হয়। সেখানেই অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তির বিষয়টি আসে। কিন্তু কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এফআইআর না করা হলে নির্বাচন কমিশন কীভাবে তা গ্রহণ করবে তা দেখার।’’ 
ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগে, গত ৫ আগস্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে চার আধিকারিক ও এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই নির্দেশ কার্যকর নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে শুরু থেকেই টালাবাহানা চলছিল। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের তরফে অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কমিশন নির্দেশিত ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন তলব করেছিল। সেই তলবি বৈঠকে সাত দিন কমিশনের সিদ্ধান্ত কার্যকর সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

Comments :0

Login to leave a comment